নির্বাচন সুষ্ঠু হলে সামাজিক নৈরাজ্য কমবে

যুগান্তর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৩০

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকা নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে সাধারণ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি দুদিনব্যাপী ব্যাপক সংর্ঘষে দুজন নিহত এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তি আহত হন। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এক দোকানে খাবারের বিল পরিশোধ করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন না যে, রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন দেরি করে অ্যাকশনে গেলেন। তারা চাইলে কি সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে গিয়ে এমন সংঘর্ষ নিষ্ক্রিয় করতে পারতেন না? আড়াই ঘণ্টাব্যাপী ইট পাটকেল, রাম দা আর লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষ চলে কী করে? অনেকসংখ্যক হেলমেট পরা যুবক লাঠিসোটা হাতে ওই সংঘর্ষে জড়ালেন কেন? এদের পরিচয় কী? আবার পরদিন আরও দীর্ঘ সময় ধরে কিভাবে এমন সংঘর্ষ চলে? কেন পুলিশ দেরি করে অ্যাকশনে গেল? মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ১৯ তারিখ বিকালে চাঁদপুরে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সকাল থেকে থাকলে হয়তো পরিস্থিতি আরেকটু ভালো হতে পারত’ (যুগান্তর, ১৯-০৪-২০২২)। প্রশ্ন হলো, কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকাল থেকে থাকল না? মানুষ জানতে চায়, পুলিশের ওপর কেমন নির্দেশ ছিল? অনেকের মনে এমন সন্দেহ উঁকি দেয় যে, পুলিশকে দেরি করে অ্যাকশনে পাঠিয়ে কি এ সংঘর্ষ দীর্ঘায়িত করার কোনো অঘোষিত অদৃশ্য পরিকল্পনা ছিল?


দেশে এখন একটি রাজনৈতিক সংকট চলছে। সরকার প্রশ্নবিদ্ধ ও নড়বড়ে নির্বাচনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। সামনে আরেকটি নির্বাচন এগিয়ে আসছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, চলমান ব্যবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন হলে চলমান সংকটের নিরসন হবে না। অন্যদিকে সরকারি দল ও এর সঙ্গে জোটবদ্ধ দলগুলো ছাড়া বাকি বিরোধী দলগুলোর প্রায় সবাই নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার। দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ দাবি আদায়ে রাজপথে নামার পরিকল্পনা করছে। এমতাবস্থায় বহুল ব্যবহৃত সনাতনী কৌশল চর্চা করে বিরোধী দলগুলোর ঐক্যে ফাটল ধরার জন্য যদি সরকার চেষ্টা করে, সেটা মোটেও আশ্চর্য হওয়ার মতো কোনো ঘটনা হবে না। এ লক্ষ্যেই বিরোধী দলগুলোর কার্যক্রম থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এমন সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ আছে।


বাংলাদেশে রাজনীতি সুস্থ ধারায় না থাকায় সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা দেশে প্রাতিষ্ঠানিক নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টায় নির্বাচনি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনি দুর্নীতিতে জড়িতদের আইনের আওতায় না আনায় তৈরি হয়েছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি। সরকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেটবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মাননীয় মন্ত্রীরা সবসময় জিডিপি বৃদ্ধি ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলে যাচ্ছেন। চারদিকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে বলে দাবি করছেন। কিন্তু তারা সামাজিক অস্থিরতা ও প্রাতিষ্ঠানিক নৈরাজ্যের কথা স্বীকার করছেন না। টিসিবির খাদ্য বিতরণকারী ট্রাকের পেছনে সাধারণ মানুষের ভিড় প্রমাণ করে যে মানুষ কতটা ভালো আছেন। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর অনেকে তাদের জমানো টাকা ভেঙে সংসার চালাচ্ছেন। করোনা-পরবর্তী সময়ে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে ছোট ব্যবসায়ীদের অনেকই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। অনেক ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। শহরে বসবাসকারী ছোট চাকরিজীবীদের কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us