ফুটপাতে চাঁদা আদায়ে ৫ শতাধিক লাইনম্যান

যুগান্তর প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১২:০৯

ঈদ সামনে রেখে জমে উঠেছে ঢাকার ফুটপাত। এই ভরা মৌসুমে দ্বিগুণেরও বেশি, কোনো ক্ষেত্রে তিনগুণ হয়ে গেছে চাঁদার অঙ্ক। হকাররা বলছেন, যেখানে ফুটপাত আছে, সেখানে দোকান আছে, আছে চাঁদাবাজরাও। তারা বলছেন, নগরীর ফুটপাতে চাঁদা তুলছে লাইনম্যান নামধারী ৫ শতাধিক চাঁদাবাজ।


হকারদের অভিযোগ, কতিপয় অসাধু পুলিশের শেল্টারে ফুটপাত থেকে এসব চাঁদা তোলা হয়। এ কারণে বন্ধ হচ্ছে না ফুটপাতের চাঁদাবাজি। তবে এ বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ফুটপাত সিটি করপোরেশনের জায়গা, এসব জায়গায় হকার বসায় সিটি করপোরেশনের লোকজন কিংবা রাজনৈতিক লোকজন। চাঁদাবাজি করে তারা। এ বিষয়ে পুলিশের কী করণীয় আছে? ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ফুটপাতকে কেন্দ্র করে অনৈতিক স্বার্থ হাসিল করে বিভিন্ন মহল। আর দোষ দেওয়া হয় পুলিশের ওপর। তার দাবি, পুলিশ এ চাঁদাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া পুলিশ সিটি করপোরেশনের জায়গায় হস্তক্ষেপ করে না। সিটি করপোরেশন চাইলে হকার উচ্ছেদ কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে পারে।


বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি এমএ কাশেম যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা শহরে সাড়ে তিন লাখ হকার আছে। ঈদ সামনে রেখে আরও লাখ দেড়েক হকার যুক্ত হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সর্বনিু প্রতিদিন ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা নেওয়া হয়। এটা এলাকা ও আকারের ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, ঈদের আগে রেট বাড়িয়ে যার কাছে যেভাবে পারছে সেভাবেই আদায় করছে লাইনম্যানরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনগুণও বাড়ানো হয়েছে।


কারা এই চাঁদা নেন জানতে চাইলে এমএ কাশেম যুগান্তরকে বলেন, কতিপয় পুলিশ, সিটি করপোরেশনের লোক এবং স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের কিছু রাজনৈতিক নেতা এসব চাঁদার টাকার ভাগ নেন। এই টাকা তোলার জন্য লাইনম্যান ও ক্যাশিয়ার আছে। লাইনম্যান ও ক্যাশিয়ার ঠিক করে দেয় পুলিশ। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তাদের পরিবর্তন হয় না। তাদের কাজ সরকারি চাকরির মতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us