বর্তমানে দেশজুড়ে বিশুদ্ধ পানির সংকট চলছে। এ সময়টাতে প্রতিবছর ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ কমে যায়। এ জন্য পানিতে থাকা জীবাণুর ঘনত্ব বাড়ে। জীবাণুযুক্ত পানি মানুষের শরীরে স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সে ক্ষেত্রে পানি জীবাণুমুক্ত করতে ভালো মানের ওয়াটার পিউরিফায়ার দরকার। এই ঈদে বিশুদ্ধ পানির জন্য কিনে ফেলুন ভালো মানের একটি ওয়াটার পিউরিফায়ার।
বিশুদ্ধ পানির অন্য নাম জীবন। ফলে পান করতে হবে বিশুদ্ধ পানি। এটি আমাদের নাগরিক অধিকার। সাধারণত লাইন থেকে বাসার ট্যাংকে পানি আসে। তিন মাস পর পর ট্যাংক পরিষ্কার করার কথা থাকলেও তা করা হয় না। এ ছাড়া পানির যে প্রাকৃতিক উৎস, সেগুলোও বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির সঙ্গে নদী, পুকুর বা খাল আমাদের পানির মূল উৎস। সেগুলো আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছি না। লেক বা খালের পানিতে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ মিশে যাচ্ছে। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সুপেয় পানির প্রাকৃতিক উৎস। চাপ পড়ছে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর। সেই পানিও বিভিন্ন কারণে দূষিত হচ্ছে।
দিন শেষে বিশুদ্ধ পানি পান করার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে বিকল্প ব্যবস্থার ওপরই। সেই বিকল্প ব্যবস্থার একটি হলো ওয়াটার পিউরিফায়ার। আমাদের এই নগরজীবনে বিশুদ্ধ পানি পানের ক্ষেত্রে এর কোনো বিকল্প নেই।
ছাঁকলেই পানি বিশুদ্ধ হয় না
শুধু পানি ছাঁকতে পারলেই তাকে ভালো ওয়াটার পিউরিফায়ার বলা যায় না। পানি ফোটালেই জীবাণু চলে যায় না; বরং এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। কারণ অনেক ধরনের রাসায়নিক ও বর্জ্য পদার্থ পানিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। পানি ফোটানো হলে সেগুলোর পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
তার মানে, বিশুদ্ধ পানি পেতে ভালো মানের ওয়াটার পিউরিফায়ার দরকার। বর্তমানে যে ধরনের সমস্যা হচ্ছে, যেমন ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি সাধারণ মানের পিউরিফায়ার এসব সমস্যা সমাধান করবে না। ভালো মানের ওয়াটার পিউরিফায়ার পানিকে শুধু ছেঁকে নয়, কয়েকটি স্তরে বিশুদ্ধ করে।