থ্রি-পিস পছন্দ হওয়ার পর দরদাম শুরু করলেন এক নারী। দাম বেশি মনে হওয়ায় সামনে হাঁটা ধরলেন তিনি। তখনই পেছন থেকে বিক্রেতা ডাক দিলেন। তিনি বললেন, ‘আমাদের বিশ্বাস করেন, আপা। সীমিত লাভে সেল দিচ্ছি। এর আগেও তো মাল নিয়েছেন। এই মালটা নেন, জিতবেন।’ কথা শুনে আবার ফেরত এলেন ক্রেতা।
এদিকে পেছন থেকে হাঁকডাক শুরু হলো। ‘এই যে আপা আসেন, ২০০ টাকার মাল ৫০ টাকায়।’ দেখা গেল, মেয়েদের ওয়ান পিসগুলো ওলটাতে ওলটাতে হাঁক দিচ্ছেন বিক্রেতা।
এই হাঁকডাক শোনা যাবে দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি, বাসুনিয়াপট্টি, গরুহাটি, চুড়িপট্টির সড়কে বসা সাপ্তাহিক বউ বাজারে। শহরের চারুবাবুর মোড় হতে মালদহপট্টি মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক। সড়কের দুই পাশে স্থায়ী কাপড়ের দোকান। শুক্রবার দোকানগুলো বন্ধ থাকায় সেখানে চার শতাধিক হকার বসেন এখানে। ওড়না থেকে থ্রি-পিস, শাড়ি, লুঙ্গি, প্যান্ট, শার্ট, জুতা, শিশুদের পোশাক, গজ কাপড়, বিছানার চাদর—সব পাওয়া যায় বউ বাজারে। ভোর থেকে শুরু হয়ে কেনাবেচা চলে বেলা তিনটা পর্যন্ত। দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় অনেক মানুষ আসেন সাপ্তাহিক বউ বাজারে কেনাকাটা করতে।