এ না হলে অদ্ভুত বাঙালি জাতি! দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগল, টিভি-অনলাইন চ্যানেল লাইভ সম্প্রচার করতে লাগল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভেঙে পড়ল, সরকার-প্রশাসন-মেয়র-পুলিশও দীর্ঘক্ষণ দূরে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখল—একটি ‘উপভোগ্য’ রণক্ষেত্রই বটে। দিন শেষে একজনের মৃত্যুর খবর এল, অমনি সবাই তখন ‘ইমোশনের ডিব্বা’ হয়ে গেল। নিহত কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান নাহিদ হোসেনের নাম ও ছবি নিশ্চয়ই এখনই কারও ভোলার কথা নয়। কয়েকটি দিন বা আরেকটা ইস্যু আসার আগপর্যন্ত তো নয়ই।
বাঙালির মাথাকে তো অতটা গোল্ড ফিশ মেমোরি বলা যায় না! গত মঙ্গলবার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে নিষ্ঠুরভাবে বলি হয়েছেন নাহিদ। তাঁর পরিবার ও বিধবা স্ত্রী ডালিয়ার কান্না দেখে অনেকে তাঁর বাসাতে ছুটে গেল সমবেদনা জানাতে। অনেকে দুঃখ প্রকাশ করল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চিত্রও পাল্টে গেল। দিনে ‘বীরত্বের সঙ্গে লড়ে যাওয়া’ পক্ষের আর তামাশা দেখে যাওয়া অনেক মানুষও রাতে হয়ে গেল ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’!