‘আমার ভালো ছেলেটারে বাড়ি থেকে ডাইকা নিয়ে গেল কাজে। ওরা কি মানুষ? ওরা ছাত্র নাকি ব্যবসায়ী, আমরা জানি না। ও তো ওদের কেউ না, আমার নিরীহ পোলাডারে কেন মাইরা ফেলল? কী করছে আমার পোলাডা। এই সংসার এখন আমরা কেমন করে সামলাব?’—নাহিদের মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার পর এভাবেই বিলাপ করছিলেন নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ীদের মধ্যকার সংঘর্ষে নিহত নাহিদ হাসানের মা নার্গিস বেগম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাহিদের বন্ধুরা মোবাইলে একটি ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করছিলেন ছবির এই ছেলেটি নাহিদ কিনা? নাহিদের ক্ষতবিক্ষত চেহারা দেখেও ছেলেকে চিনতে ভুল হয়নি তাঁর বাবার। তখনই ছুটে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেলে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মারা যান নাহিদ।