মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে আছে ফ্রিজিং গাড়িটি। চারদিকে অসংখ্য মানুষ, টিভি ক্যামেরা আর ফ্ল্যাশের ঝলক। কিন্তু যাকে ঘিরে এত সব আয়োজন, সেই মোশাররফ হোসেন রুবেল তার প্রিয় মাঠে রাখা ফ্রিজিং ভ্যানে শুয়ে আছেন চিরনিদ্রায়। গাড়িটির বাইরের দেয়ালে মাথা রেখে ভেতরে তাকিয়ে আছেন চৈতি ফারহানা রুপা।
কাঁচের দেয়াল ভেদ করে স্বামীকে শেষবার দেখার একটা চেষ্টা। কোলে থাকা একমাত্র সন্তান রুশদানের এখনো বোঝার বয়স হয়নি যে, কী ভয়ানক ঘটনা ঘটে গেছে। অথচ বছর দেড়েক আগেই গল্পটা ছিল অন্যরকম। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা করে দেশে ফিরেছিলেন মোশাররফ রুবেল। এমনকী তিনি আবার মাঠে ফেরার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু মারণরোগ তার পিছু ছাড়েনি। পুনরায় ফিরে আসা ঘাতক ব্যধিকে আর হারাতে পারেননি রুবেল। গত তিন বছর ধরে জীবনসঙ্গীকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন যে মানুষটি- তিনি চৈতি ফারহানা। বিয়ে করেছিলেন ভালোবেসে।