অতিমারির বিধিনিষেধের পর এবারে আসছে স্বস্তির ঈদ। মনে করা হচ্ছে, এবার বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামবে মহাসড়কে। কিন্তু সেই চাপ কি সামলাতে পারবে মহাসড়ক? ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, সে প্রশ্নটাই বড় করে দেখা দিচ্ছে।
সরকার অবশ্য বলছে, আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। সব সড়কই মেরামত করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই। তারা মনে করছে, এ বছরও দীর্ঘ যানজটে ভুগতে হবে তাদের। হয়তো ১০ ঘণ্টার যাত্রা গিয়ে ঠেকবে ২০ ঘণ্টায়।
ঘরে ফেরা যাত্রীদের যানজটে আটকে থাকতে হবে রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথগুলোতেই। কোথাও সেতু, সড়ক এবং উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হবে। গাবতলী হয়ে পাটুরিয়া ঘাটমুখী ও উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের বড় বাধা হবে গাবতলীর আমিনবাজার ব্রিজ পার হওয়া। তারপর সাভারের ইপিজেডে পড়তে হবে যানজটে। তবে চন্দ্রায় এবার যানজট হবে না। মহাখালী থেকে উত্তরা হয়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনাগামী গাড়িগুলোকে যানজটে আটকে থাকতে হবে আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী ও গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী গাড়িগুলোকে কাঁচপুর ব্রিজের আগে যানজটে আটকে থাকতে হতে পারে। তবে যাত্রাবাড়ী থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ দিয়ে মাওয়া হয়ে খুলনা যেতে ফেরিঘাট ছাড়া বেগ পেতে হবে না যাত্রীদের। তবে বর্ষা মৌসুমের আগে দেশের দুই বড় ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হবে।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর ১৫ এপ্রিলের মধ্যে রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।