দু’দিন আগে রুমা দাসের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রতিবেশী পূর্বতী রানী দাসের ঝগড়া হয়। এই ঘটনায় রুমাকে শায়েস্তা করতে গত শনিবার দুপুরে রুমার তিন বছরের শিশুসন্তান রাহুলকে নিজের ঘরে ডেকে নেন পূর্বতী। সেখানে শ্বাসরোধ করে শিশুকে খুন করে ঘরের ভেতরে সুটকেসে ছোট্ট শরীর লুকিয়ে রাখেন। পর দিন শিশুর মরদেহ পঁচে গন্ধ বেরুতে থাকলে গভীর রাতে তা বাসার পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে ফেলে দেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর হাকিম আদালতে শিশু রাহুলকে হত্যার মর্মান্তিক বর্ণনা দেন পূর্বতী। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শ্যামারচর খাসিয়াহাটি গ্রামের দীগেন্দ্র দাসের স্ত্রী। একাই তিনি শিশু রাহুলকে খুন করে রাতের আঁধারে লাশ পাশের বাঁশঝাড়ে ফেলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানিয়েছেন, এরপর আদালত আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।