প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ের একটি বক্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে জানা যায়, তিনি বলেছেন, ‘কিছু লোক ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির বিরোধ সৃষ্টি করতে চায়। এটা মোটেও সঠিক নয়। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা একসঙ্গে উৎসব পালন করে থাকি।’ আমার মতো অনেকের মনেই হয়তো এই বক্তব্যকে ঘিরে নানা ধরনের প্রশ্ন জেগেছে। তবে বক্তব্যটি আশা জাগানিয়া।
নৃবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে যতটুকু জানি তা হলো জীবনযাপনের সবকিছুই সংস্কৃতির উপাদান। অর্থাৎ ধর্মও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এবং আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের আদলও সংস্কৃতি নির্ধারণ করে। কিন্তু বাংলাদেশে এটি উল্টোভাবে চলছে। অর্থাৎ ধর্মের দোহাই দিয়ে সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ এবং এর ওপর খবরদারি চালানোর চেষ্টা বেশ কয়েক বছর ধরেই হচ্ছে। কী প্রক্রিয়ায় এটি হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে?
গত দুই বছর পহেলা বৈশাখের আনন্দ, উৎসব কিছুই হয়নি। সেটার কারণ ছিল করোনাভাইরাস। এ দেশে মানুষের এমনিতেই উৎসবে নিজের মতো করে বের হওয়া, ঘোরাঘুরি করার ফুরসৎ কম। বিশেষ করে নারীরা উৎসবগুলোতে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে খাবার-দাবার তৈরিতে এবং অতিথি আপ্যায়নে। এই নববর্ষের উৎসবেই ঢাকায় বসবাস করা মধ্যবিত্ত নারীদের অনেকেই ঘর থকে বের হয়। রমনার বটমূলে যায়, গান শোনে, পান্তা-ইলিশ খায়, তাদের অনেকেই হাত পাখা, মাটির পুতুল কিংবা চুড়ির রিনিঝিনিতে খিলখিলিয়ে ওঠে।