করোনাকালীন তৃতীয় বাজেটে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ব্যয় বাড়ছে প্রায় ২০ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা। এতে এডিপির আকার দাঁড়াবে দুই লাখ ৪৬ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫.৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে এই টাকার পরিমাণ ছিল দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসে সংসদে বাজেট বিল উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু বাজেটে বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, এর বাস্তবায়ন করতে হবে সঠিকভাবে। তাঁরা বলছেন, শুধু বড় আকারের বাজেট প্রস্তাব করলেই হবে না। সরকারকে আয় অনুযায়ী ব্যয়ের হিসাব করতে হবে। যাতে বাজেট সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। এর পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্য খাতে অত্যধিক গুরুত্ব দিতে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ও রাজনৈতিক প্রকল্প না নিতে।
সূত্র বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় এবার প্রাক্কলিত জিডিপিও বেড়েছে অনেকটা। চলতি বছরের জিডিপির আকার ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর আগামী অর্থবছরে প্রাক্কলিত জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৪৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে জিডিপির আকার বেড়েছে আট লাখ ৩৫ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আসন্ন বাজেটে যে খুব বেশি পরিমাণ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ বাড়ছে এমনটা নয়। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে সরকার যেন বাজেট যেভাবে দেয় ঠিক সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করে। সরকারের আয় ও ব্যয়ের বিষয়টি যেন মাথায় থাকে। ’