সামাজিক পুঁজির সংকট ও করণীয়

যুগান্তর ড. মতিউর রহমান প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৫৩

করোনাভাইরাস ডিজিস-১৯ (কোভিড-১৯) পুরো বিশ্বকেই ওলটপালট করেছে। ২০১৯-এর ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে এটি শনাক্ত হয় ২০২০ সালের মার্চে। দুই বছরেরও বেশি সময় চলা এ ভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বকে ব্যাপকভাবে পালটে দিয়েছে। কোভিড-১৯ আমাদের চিরচেনা জগৎকে সবদিক দিয়ে অপরিচিত করে দিয়েছে। মানুষের জীবনযাপন পদ্ধতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এ রোগের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, স্বাস্থ্যগত ও মনস্তাত্ত্বিক অভিঘাত নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক গবেষণা হয়েছে। শুধু আর্থিক দিক থেকেই বিবেচনা করলে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে এ রোগের অভিঘাত ব্যাপকতর, যা ক্রমান্বয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে।


সামাজিক পুঁজি (সোশ্যাল ক্যাপিটাল) প্রধানত সমাজবিজ্ঞানের একটি প্রত্যয় বা ধারণা। আমেরিকান সমাজ সংস্কারক লিডা জুডসন হানিফান ১৯১৬ সালে ‘ব্যক্তি, পরিবার ও গোষ্ঠীর মধ্যে শুভেচ্ছা, সহযোগিতা, পারস্পরিক সহানুভূতি এবং সামাজিক আন্তঃসম্পর্ক’ বোঝাতে সামাজিক পুঁজি শব্দটি ব্যবহার করেন। সামাজিক পুঁজির ধারণাটি সর্বপ্রথম ১৮৯০-এর দিকে ব্যবহৃত হয়। তবে ১৯৯০-এর পর থেকে সমাজবিজ্ঞানী, সমাজচিন্তক ও উন্নয়নসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে সমাজবদলের ধারণাগুলোর মধ্যে সামাজিক পুঁজি সবচেয়ে জনপ্রিয়। সাধারণভাবে মানুষের মনোগত অবস্থা বা মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে কোনো ধরনের বৈষয়িক স্বার্থে চিন্তা না করে কাউকে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপৃত করতে পারাকেই সামাজিক পুঁজি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। সামাজিক পুঁজির তিনটি মৌলিক গুণ রয়েছে যথা-সামাজিক পুঁজি সামাজিক নিয়ন্ত্রণের উৎস; এটি পারিবারিক সহযোগিতার উৎস এবং এটি পরিবারের বাইরের নেটওয়ার্কগুলোর মধ্য দিয়ে সুফল লাভের উৎস।


কোভিড-১৯-এর দরুন সৃষ্টি হওয়া ভয়াবহ আর্থিক মন্দা ও জনস্বাস্থ্য সংকটের সময় আরও একটি ঘটনা প্রায় অনিবার্যভাবে দেখা দিয়েছে; আর তা হলো, সামাজিক পুঁজির সম্ভাব্য সংকট বা ক্ষয়। অর্থনীতিবিদদের মতে, সামাজিক পুঁজি শ্রম ও মূলধনের মতোই একটি দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সামাজিক সংহতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন্দার ফলে যদি সামাজিক পুঁজির ক্ষয় ঘটে, তা অর্থনীতির ওপর মন্দার কুপ্রভাবকে আরও প্রকট ও সুদূরপ্রসারী করে তুলতে বাধ্য। সামাজিক পুঁজির প্রধান স্তম্ভ দুটি যেমন: এক. মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস এবং দুই. সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা। যে সমাজে বিশ্বাস ও আস্থার মাত্রা যত বেশি, সামাজিক পুঁজির নিরিখে সেই সমাজের অবস্থা তত উন্নত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us