চালের মজুতের দিক থেকে স্বস্তির সময় পার করছে বাংলাদেশ। কিন্তু দামের ক্ষেত্রে অস্বস্তি কাটছে না। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বেশি মজুত আছে। এর মধ্যে চাল পৌনে ১০ লাখ ও গম পৌনে এক লাখ মেট্রিক টন। শুধু তাই নয়, যে পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত থাকা নিরাপদ মনে করা হয়, তার চেয়ে এই মুহূর্তে বেশি খাদ্য সরকারের হাতে আছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি-২০২০’ অনুযায়ী, সাড়ে ১০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত থাকা দেশের জন্য নিরাপদ। বর্তমানে মজুত আছে ১৫ লাখ পাঁচ হাজার মেট্রিক টন। যার মধ্যে চাল ১৩ লাখ মেট্রিক টন ও গম এক লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন।
অর্থাৎ নিরাপদ মানদণ্ডের চেয়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বেশি আছে। এর পরও চালের দাম লাগামহীন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় সব বিষয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকলেও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে না থাকা অস্বাভাবিক। এর পেছনে মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাদ্য সচিব ড. নাজমানারা খানুম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘করোনা মহামারি, পরিবহণ ব্যয় ও শ্রমিকের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের যেখানেই যা হচ্ছে সব দেশের ব্যবসায়ীরা সেটা জানতে পারছেন। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম, বৈশ্বিক পরিস্থিতির সুযোগে আগের কেনা পণ্যের দামও নির্মমভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।’