ফ্রান্সের নির্বাচন: কট্টরপন্থী না উদারপন্থী, কার হাতে যাচ্ছে ক্ষমতা?

প্রথম আলো সরাফ আহমেদ প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৯:৪২

ফ্রান্স অনেক দিন ধরেই উদারবাদী আর কট্টরবাদী রাজনীতির দোলাচলের মধ্যে রয়েছে। তা আবার প্রমাণিত হলো ১০ এপ্রিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। ইউরোপীয় রাজনীতিতে এটি একটি নতুন দৃষ্টান্ত। ফ্রান্সের মতো প্রাচীন গণতান্ত্রিক দেশে ঐতিহ্যবাহী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলো থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সাবেক মূলধারার দুই দলের মধ্যে রক্ষণশীল রিপাবলিক ও সামাজিক গণতন্ত্রী বা সোশ্যালিস্টরা চূড়ান্ত পর্বের নির্বাচনে যাওয়ার মতো ভোট পাননি।


পাঁচ বছর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো এবারও প্রথম দফার ভোটে এমানুয়েল মাখোঁ প্রথম ও কট্টর ডানপন্থী মেরিন লঁ পেন দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট পেয়েছেন। তবে ফ্রান্সের নির্বাচনী আইনে, তা প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যথার্থ নয়। এবারের নির্বাচনের প্রথম পর্বে মাখোঁ পেয়েছেন ২৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, লঁ পেন পেয়েছেন ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ আর বামপন্থী দলের লা ফ্রান্স জ্য-লুক মিনশঁ পেয়েছেন ২১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট। ফ্রান্সের প্রথম দফার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন ১২ জন। তাঁদের মধ্যে চারজন নারী, আটজন পুরুষ।

পরাজিত প্রগতিশীল প্রার্থীদের বেশির ভাগই দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তাঁদের সমর্থকদের এমানুয়েল মাখোঁকে ভোট দেওয়ার জন্য বলেছেন। তবে প্রথম দফা নির্বাচনে বামপন্থী দলের নেতা লা ফ্রান্স জ্য-লুক মিনশঁ তাঁর সমর্থকদের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে কোনোক্রমেই কট্টর ডানপন্থী মেরিন লঁ পেনকে ভোট না দিতে অনুরোধ করেছেন। তবে কোন প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে, তা বলেননি। অন্যদিকে আরেক রক্ষণশীল দল রিকনকয়টের নেতা এরিক জেরমোঁ তাঁর সমর্থকদের দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মেরিন লঁ পেনকে ভোট দিতে বলেছেন। এরিক জেরমোঁ এবারের নির্বাচনে ৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।


ফ্রান্সের সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের অধীনে, প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট দুই দফা নির্বাচনে পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সাল থেকে সরাসরি জনগণের ভোটে দুই পর্বের নির্বাচনের এই প্রথা চালু হয়। প্রথম পর্বে কোনো প্রার্থী নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেলে দুই সপ্তাহ পর সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফার (রান-অফ) অনুষ্ঠিত হয়। এখন ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটেই চূড়ান্ত হবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কে হবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us