জরায়ুও নিরাপদ থাকেনি ছাত্রলীগের জন্য। ২০১৫ সালে মায়ের জরায়ুতে থেকে ছাত্রলীগের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়েছিল এক কন্যাশিশু সুরাইয়া। জন্মের পর সুরাইয়ার একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে, আরেকটির অবস্থাও খুব খারাপ। ছাত্রলীগ যে আক্ষরিক অর্থেই ‘বুলেট’, সেটা প্রমাণ করার জন্য আমাদের হাতে থাকা অসংখ্য তথ্যের একটি এই ঘটনা। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সময়ে ‘বুলেট ছাত্রলীগ’ নেতিবাচক সংবাদ হয় প্রতিনিয়ত। তাই পরীক্ষার হল থেকে ফেসবুক লাইভে একজন ছাত্রলীগ নেতা যখন প্রতীকীভাবে নিজেদের ‘বুলেট’ দাবি করেন, সব রকম অর্থেই সেটার স্বীকৃতি আমরা দিই।
ফেসবুক লাইভে বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে এসব নিয়ে বলার মধ্যে একটি ভিন্ন দ্যোতনা আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু না লিখেও এ প্লাস দিতে হবে কিংবা এ প্লাস না দিলে বোর্ডমোড ভেঙে ফেলা হবে, এ রকম কথা ছাত্রলীগের মুখ থেকে শুনে অনুমান করি, কেউ একেবারে স্তম্ভিত হয়ে পড়েননি। এই সরকারের শাসনামলে সরকারি দল এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর দৌরাত্ম্য কোন জায়গায় পৌঁছেছে, সেটি এই দেশে বসবাসকারী মানুষমাত্রই জানেন। তারপরও যাঁরা ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুক লাইভে অবাক হয়েছেন, তাঁদের এখন কী অবস্থা ‘এসপি লীগ’–সংক্রান্ত খবর দেখে?