পয়লা বৈশাখ কি সত্যিকার অর্থে শৈশবে বুঝতাম না। আর কিশোর বয়সেই আমি এক সন্তানের মা। ওই সময় ভোর সাড়ে ৪টায় সেজেগুজে বটতলায় চলে যেতাম। আমার বাচ্চা তখন ছোট; ওকে সঙ্গে নিয়েই যেতাম। যেহেতু ভোর সাড়ে ৪টায় বাসা থেকে রওনা হতাম, এজন্য রাত ৩টার দিকে উঠে সাজগোজ করতাম।
আমার কাছে পয়লা বৈশাখকে ঈদের দিনের চেয়েও বেশি আনন্দের মনে হতো। ৪০০ টাকা দিয়ে একটা শাড়ি কিনতে পারলে মনে হতো ৪ লাখ টাকা দিয়ে শাড়ি কিনে ফেলেছি। ঈদে কখনো শাড়ি কিনতে না পারলে মন খারাপ হতো, কিন্তু পয়লা বৈশাখে কিনতে না পারার কষ্টের মতো নয়; পয়লা বৈশাখে শাড়ি নাই- এ নিয়ে দুঃখের শেষ থাকতো না!