রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে খানিকটা ধীরগতি দেখা গেলেও বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকই আছে। আগের চেয়ে গতিও সঞ্চার হয়েছে। অর্থনীতির বেশ কয়েকটি সূচক এখন ইতিবাচক ধারায়।
রফতানি আয়ে স্বস্তির সুবাতাস পাওয়া যাচ্ছে বেশ কয়েকমাস ধরে। গত মাসের তুলনায় প্রবাসী-আয়ও বেড়েছে। বাড়তে শুরু করেছে বিনিয়োগ। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। এ অবস্থায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জনে আশাবাদী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর পূর্বাভাসেও উঠে এসেছে এমন চিত্র। সংস্থাটি চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
লতি অর্থবছরের বাজেটের মাধ্যমে ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করে এই দাতা সংস্থা। এডিবি বলছে, আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশও হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আমদানি ব্যয় খানিকটা বেড়েছে। তবে করোনা চলে যাওয়ার পর অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার হয়েছে।
রফতানি আয়
দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক। এর ওপর ভর করে লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে রফতানি আয়।
প্রবাসী আয়ে চাঙা ভাব
গত মার্চে প্রবাসীরা দেশে প্রায় ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন (১৬ হাজার ৩৩ কোটি টাকা)। এই আয় গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে
করোনার প্রভাব কমে আসার পর থেকেই বেসরকারি খাতে ঋণে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে।
রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা
প্রতি বছর বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে কর সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়, সাধারণত অর্থবছরের শেষে সংশোধিত বাজেটে তা কিছুটা কমানো হয়।
রাজস্ব আয়ে গতি বেড়েছে
এনবিআরের তথ্য বলছে, ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা এবং আমদানি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব সংগ্রহ বেড়েছে।