মিলিত প্রাণের কলরবে ‘সংক্রান্তি ও বৈশাখ’

ঢাকা পোষ্ট শিশির ভট্টাচার্য্য প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩০

সংস্কৃতি বনাম, ভাষা বনাম, ধর্ম। একই সংস্কৃতির লোক যেমন ভিন্নভাষী, ভিন্নধর্মী হতে পারে, তেমনি সমভাষী লোক পালন করতে পারে ভিন্ন ধর্ম কিংবা অনুসরণ করতে পারে ভিন্ন সংস্কৃতি। ভাষা ও সংস্কৃতির সৃষ্টি হয় দই পাতার মতো করে। কুসুম গরম দুধের সঙ্গে পূর্বের কিছু দই মিশিয়ে, বিশেষ উত্তাপে কিছু সময় রেখে দিলে সেই দুধ জমে দইয়ে পরিণত হয়। একাধিক সংস্কৃতিও বিশেষ পরিস্থিতিতে পরস্পরের সঙ্গে মিশে কিছুকাল পর বিচিত্র ও নতুন স্বাদের এক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়। 


এমন এক সময় ছিল, যখন দুই মানবগোষ্ঠী পরস্পরের সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্র একে অপরকে মেরে ফেলাই ছিল আচরণীয় সংস্কৃতি। নির্বিচারে অন্যকে খুন করতে সক্ষম বা ‘কাবিল’ ছিল যে সব প্রাইমেট, তারাই আগে পরে টিকে গেছে। নৃশংসতম প্রাইমেটরাই আধুনিক মানুষের পূর্বপুরুষ। ঘৃণা মানুষের সহজাত একটি প্রবৃত্তি, পক্ষান্তরে ভালোবাসা একটি অর্জিত প্রবৃত্তি। সভ্যতার পূর্বেও ঘৃণা ছিল, সভ্য হতে হতে মানুষকে ভালোবাসা শিখতে হয়েছে, কিংবা হয়তো ভালোবাসতে শিখেই মানুষ সভ্য হয়েছে। 


মানুষ কেন পরস্পরকে ঘৃণা করে? ঠিক যে কারণে এক পাড়ার কুকুর অন্য পাড়ার কুকুরকে দেখে ঘেউ ঘেউ করে খেঁকিয়ে আসে, সেই একই কারণে। কেক ছোট, খানেওয়ালা বেশি। আমি, আমার গোষ্ঠীর লোক যদি কেকের পুরোটা খেয়ে ফেলতে পারি, তবে আমার, আমাদের গোষ্ঠীর পুষ্টি।


আমার বা আমাদের কেকে যদি অন্য কেউ ভাগ বসাতে আসে, তবে আমার বা আমাদের পুষ্টির সম্ভাবনা কমে যায়। অন্যকে কেকের ভাগ না দিতে চাইলে তাকে মেরে ফেলাই সবচেয়ে সুবিধাজনক। উপমহাদেশ এবং অন্যত্র সংখ্যালঘু নির্যাতনের মূলে আছে অন্যের কেক কেড়ে খাওয়ার সহজাত তাড়না।


সভ্যতার ইতিহাসে দ্বন্দ্ব শুধু নয়, সমন্বয়েরও প্রচুর উদাহরণ রয়েছে। আপনি চান বা না চান, ধর্ম, ভাষা এবং সংস্কৃতি—গোষ্ঠী গঠনের প্রধান এই তিন নিয়ামক উপাদান পরস্পরের সঙ্গে মিশতে বাধ্য। বিদ্যমান ভাষাকে নতুন ধর্ম কখনোই উপেক্ষা করতে পারে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us