হাইকোর্টের গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই দেখা গেল নানান শ্রেণির মানুষের ভীড়। একটু ভিতরে চোখে পড়লো হুলুস্থুল কর্মযজ্ঞ। আটটি চুলায় চারজন বাবুর্চী রান্না করছেন। অনেকে ফলমূল কাটা নিয়ে ব্যস্ত। থালা, বোল, গ্লাস পরিস্কার করছেন একদল। বলছি হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে শাহ্ খাজা শরফ উদ্দিন চিশতি (রহ.) ওরফে ওলি-এ-বাংলার মাজার ও মসজিদের ইফতার আয়োজনের কথা ।
হাইকোর্ট মসজিদের ঠিক মাঝখানে মাজারটি অবস্থিত। মসজিদের ডানপাশে আলাদা অংশে রয়েছে মহিলাদের জামায়াতের ব্যবস্থা। মাজারের প্রবেশমুখে হাতের ডানপাশের দেয়ালে গাউছুল আজম বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানীর (রহ.) পবিত্র রওজা শরীফের গিলাফ, তার পাশেই হযরত ঈমাম হোসাইন (রা.) পবিত্র রওজা শরীফের নিশান টানানো।
মাজারে খিলানে বড় হরফে লেখা ‘মাজারে কেউ সিজদা করবেন না’। তার পাশেই লেখা ‘তোমরা সূর্যকে সেজদা করিও না, চন্দ্রকেও না, যদি তোমরা প্রকৃতই তাঁর ইবাদত করে থাকো।’ (সূরা-হা-মীম সাজ্দাহ, আয়াত-৩৭।) দেয়ালের চারদিকে বড় হরফে লেখা লা ইলাহা ইল্লাহ্ মুহাম্মদ (সা.) ওআস্সালামু আলাইকুম ইয়া ওয়ালিউল্লাহ্। মাজারের সামনে অনেকে দাঁড়িয়ে, মাজার ধরে, কেউ মাথা নীচু করে মগ্ন হয়ে মাজার জিয়ারত করছেন।
যুগ যুগ ধরে এভাবেই ইফতারের আয়োজন করছেন হাইকোর্ট মাজার ও মসজিদ কমিটি। এতে ধর্ম-বর্ণভেদে হাজারের বেশি মানুষ একসাথে ইফতার করেন। রাজধানীর নানা জায়গা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।
মসজিদের ইমাম আহমেদ রেজা ফারুকী বিবার্তাকে বলেন, মসজিদ হলো মহান আল্লাহর তায়ালার ঘর। মাজার মসজিদে ইফতারের এমন আয়োজন বহু আগে থেকেই করা হয়। এখানে ধনী-গরীব সকল শ্রেণির মানুষ এক কাতারে বসে ইফতার করে। ইসলাম ধর্ম হচ্ছে সকল মানুষের জন্য সমান অধিকার। শান্তির বাণী দেয়া প্রতিটি মুসলিমের কাজ।