যেসব কারণে রোজা ভেঙে ফেলা বৈধ

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১০:২২

রোজা রাখা অবস্থায় প্রচণ্ড ক্ষুধা অথবা পিপাসায় কাতর হয়ে প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা হলে এবং বেহুঁশ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলে ওই ব্যক্তি রোজা ভেঙে প্রয়োজনমতো পানাহার করতে পারে। তবে ওই রোজা তাকে পরে কাজা করতে হবে। কারণ জান বাঁচানো ফরজ। আর মহান আল্লাহ বলেন, ‘...তোমরা নিজেদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ো না...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৫)


অন্য আয়াতে এসেছে, ‘...তোমরা নিজেদের হত্যা কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াশীল। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ২৯)


তবে কোনো ধারণাপ্রসূত কষ্ট, ক্লান্তি অথবা সাধারণ রোগের আশঙ্কায় রোজা ভাঙা বৈধ নয়।


যারা কঠিন পরিশ্রমের কাজ করে তাদের জন্যও রোজা ত্যাগ করা বৈধ নয়। এ শ্রেণির লোকেরা রাতে রোজার নিয়ত করে রোজা রাখবে। অতঃপর দিনের বেলায় কাজের সময় যদি নিশ্চিত হয় যে কাজ ছাড়লে তাদের ক্ষতি এবং কাজ করলে তাদের প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা আছে, তাহলে তাদের জন্য রোজা ভেঙে শুধু ততটুকু পানাহার বৈধ হবে, যতটুকু পানাহার করলে তাদের জান বেঁচে যাবে। অতঃপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত আর পানাহার করবে না। অবশ্য রমজানের পর তারা ওই দিনটি কাজা করে নেবে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর সাধারণ বিধান হলো, ‘আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অতীত ভার অর্পণ করেন না। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৮৬)


অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আল্লাহ দ্বিনের ব্যাপারে তোমাদের জন্য কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি। ’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৬)


বলা বাহুল্য, উট বা ছাগল-ভেড়ার রাখাল রৌদ্রে বা পিপাসায় যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে যতটুকু পরিমাণ পানাহার করা দরকার ততটুকু করে বাকি দিনটুকু সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিরত থাকবে। অতঃপর রমজান বিদায় নিলে ওই দিনটি কাজা করে নেবে। আর এর জন্য কোনো কাফফারা নেই। (মাজাল্লাতুল বুহুসিল ইসলামিয়্যাহ : ২৪/৬৭, ১০০)

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us