প্রাক্কলিত গোপন দর ফাঁস করে দেওয়ার ঘটনায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প শুরুতেই হোঁচট খেল। আটকে গেল রাজধানী ঢাকার চারপাশে ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। যোগসাজশের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১৪টি লটের মধ্যে ১২টি লটের দরপত্র বাতিল করেছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়।
৩০ কোটি টাকার কম হওয়ায় অবশিষ্ট ২টি লটের কাজ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তবে এই লটের মধ্যেও একই অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র একাধিক সূত্র যুগান্তরকে জানিয়েছে, নতুন করে দরপত্র আহ্বান করায় এখন প্রকল্পের সময় ও খরচ দুটিই বাড়বে। বিদ্যমান এক হাজার ১৮১ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প ব্যয় ১২শ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে।
এজন্য এর পেছনে যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি করেন কেউ কেউ। অভিযোগ রয়েছে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ ভাগাভাগি করে নেওয়ার পেছনে সরকারি দলের প্রভাবশালী লোকজন জড়িত।
যারা নথিতে নিয়ম-কানুন ঠিক রেখে যারা কয়েকশ কোটি টাকার কাজ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে চেয়েছিল। এজন্য দরপত্র নিশ্চিত করতে মহলবিশেষ আগেই তাদের প্রাক্কলিত গোপন দরের তথ্য সরবরাহ করে। এ বিষয়ে অভিযোগের তীর বিআইডব্লিটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিকে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘দরপত্র প্রক্রিয়ায় ভুল থাকা ও সব প্রতিষ্ঠানের সমান সুযোগ না থাকায় দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, দরপত্রে প্রক্রিয়াগত ভুল ছিল। স্ট্যান্ডার্ড টেন্ডার ডকুমেন্ট (এসটিডি) অনুযায়ী না হওয়া এবং সব ঠিকাদারের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ না থাকায় টেন্ডারগুলো অনুমোদন করা হয়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে- তাদের উদ্ধৃত দর একই ধরনের ছিল, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। আমরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছি। সামনের টেন্ডার প্রক্রিয়া দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’