ফের প্রতিবাদী রফিয়াত রশিদ মিথিলা। বাংলাদেশের এক শিক্ষিকার হেনস্থার কারণে। প্রকৃত ঘটনা কী? আনন্দবাজার অনলাইনকে মিথিলা ঢাকা থেকে জানিয়েছেন, কপালের টিপ ওই শিক্ষিকার হেনস্থার কারণ! তাই তিনি এবং আরও অসংখ্য নারী কপালে টিপ পরা ছবি দিয়ে প্রতিবাদে সামিল। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘শাড়ি আর টিপ বাঙালি নারীর প্রিয় সাজ। সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে তাঁর আত্মমর্যাদায় আঘাত করা। যা আমি মেনে নিতে পারছি না।’’ তাই কপালে টিপ দেওয়া নিজের ছবি দিয়ে মিথিলার সাবধান বাণী, আমার টিপ নিয়ে কোনও কথা নয়, আমার স্বাধীনতা নিয়ে কোনও কথা নয়।। যদি থাকে আমার আগুনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার ভয়, পৃথিবীটা তোমার একার নয়!’’
খবর, শনিবার পড়শি দেশের রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে এক পুলিশ অফিসার প্রশ্ন করেন, “টিপ পরছোস কেন?” অভিযোগ, লতা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানালে তাঁকে কটূক্তি করতে থাকেন ওই অফিসার। গায়ের উপর দিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে দেওয়ারও নাকি চেষ্টা করেন। এর পরেই বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেক অধিবাসী সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে মুখর। খোঁজ চলছে অপরাধীরও। এই ঘটনায় ব্যথিত মিথিলার শিল্পীসত্তা। তাঁর আফশোস, ‘‘ধর্ম আর অসহিষ্ণুতা বিশ্বকে ক্রমশ গ্রাস করছে। আজ হিজাব, কাল টিপ, পরশু শাড়ি.... নারীর কিছু না কিছু নিয়ে অকারণ বক্তব্য। এটা একে বারেই কাম্য নয়। আমি কী পরব সেটা সম্পূর্ণ আমার বিষয়। আমি কী করব, সেটাও। যিনি বলবেন তাঁকে আমার রোষের আগুনে পুড়তে হবে।’’