অবৈধ ব্যান্ডরোলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২২, ১০:৫৫

সিগারেট প্যাকেটের গায়ে আমদানীকৃত অবৈধ ব্যান্ডরোল বা ট্যাক্স স্ট্যাম্প ব্যবহার করে শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে অসাধু উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা। এতে প্রতিবছর বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের মাধ্যমে নিম্নমানের সিগারেট বিক্রি করায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। ব্যান্ডরোলের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করা গেলে সরকারের তামাক খাত থেকে রাজস্ব বাড়ার পাশাপাশি ধূমপায়ীর সংখ্যাও কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।


কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোলের নকল ও অবৈধ ব্যবহারে প্রতিবছর দুই হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের গবেষণায়ও রাজস্ব ফাঁকির এই তথ্য উঠে আসে।


সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের রাজস্বের সবচেয়ে বড় উৎস সিগারেট খাত, যেখান থেকে গত অর্থবছরে এসেছে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা, যা পুরো রাজস্ব আয়ের প্রায় ১১ শতাংশ এবং ভ্যাট থেকে পাওয়া রাজস্বের এক-তৃতীয়াংশ। বাংলাদেশে সিগারেটের মূল্য এবং করহার গড়ে ৭৭ শতাংশ। এই করের মধ্যে আছে সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর ও হেলথ সারচার্জ। ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে নিম্নমানের সিগারেট প্রত্যন্ত এলাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকেও অনেক কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার, অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। অন্যদিকে বেশি মুনাফার আশায় দেশে অবৈধ ব্যান্ডরোলের ব্যবহার বাড়ছে। নিম্নস্তরের প্রতি ১০ শলাকার প্যাকেটের দাম সর্বনিম্ন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ টাকা, এতে সর্বমোট ৭৩ শতাংশ কর আদায় করে সরকার পায় ২৮.৪৭ টাকা।


কিন্তু ব্যান্ডরোল বা ট্যাক্স স্ট্যাম্প নকল করে কেউ যদি সিগারেট বাজারজাত করে, তাহলে বাজারজাতকারীর এই ২৮.৪৭ টাকা পুরোটাই লাভ। তাঁদের মতে, প্রতিবছর বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ে। এর সুযোগে বাড়ে অবৈধ সিগারেটের বাজার। করোনা মহামারির আগে এই ধরনের ১০-১২টি কারখানা ছিল, যা এখন ২৫টির বেশি। এই ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে স্থানীয়ভাবে অবৈধ সিগারেট উৎপাদন করছে এবং বিক্রির জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল বেছে নিচ্ছে। কারণ সেখানে নজরদারি কম। ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে বিভিন্ন লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে পুরনো প্যাকেট থেকে ট্যাক্স স্ট্যাম্প সংগ্রহ করে ফের ব্যবহার করে, এ ছাড়া উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যান্ডরোল বা ট্যাক্স স্ট্যাম্প নকল করে সিগারেট বাজারজাত করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us