রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এরই মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি স্ম্ফীত হয়ে উঠছে। সামরিক-বেসামরিক মানুষের লাশের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয়র সংখ্যা। বলা বাহুল্য, এ যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা ইউরোপে এক ধরনের নাড়া ও সাড়া পড়েছে।
বিশ্নেষক, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই একে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন। আমরা দেখেছি, পশ্চিমারা রাশিয়ার ওপর একের পর এক কঠিন অবরোধ আরোপ করেছে। এ যুদ্ধ স্বাভাবিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনীতিতে এক নতুন যুগেরও সৃষ্টি করেছে। একদিকে পশ্চিমাদের জোটবদ্ধ হওয়া, অন্যদিকে রাশিয়ার দৃঢ়তার সঙ্গে যুদ্ধে নামার মানে হলো নতুন শীতল যুদ্ধ শুরু হওয়া; যেটা আমরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেখেছি।
এ কারণেই বিষয়টি বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব যেমন সরাসরি বাংলাদেশের ওপর পড়তে পারে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থ বিবেচনায় পরোক্ষভাবেও আমাদের প্রভাবিত করতে পারে।