ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে চেঁচরী রামপুর, পাটিখালঘাটা ও আমুয়া ইউনিয়নের বসানো যাচ্ছে না গভীর নলকূপ, তাই বাধ্য হয়েই বৃষ্টির পানি, পুকুর ও ডোবার পানি পান করছেন মানুষ। রান্না, থালাবাসন ধোয়া, গোসলসহ আনুসাঙ্গিক কাজ করতে হচ্ছে নোনা পানিতে। এ তিন ইউনিয়নের অর্ধলাখ মানুষ বছরের পর বছর ধরে সুপেয় পানির অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এতে বছরজুড়েই লেগেই আছে পানিবাহিত রোগব্যাধি।
জানা গেছে, উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠির সর্ব দক্ষিণের কাঁঠালিয়া উপজেলার এই ৩ ইউনিয়ন সাগরের কাছাকাছি হওয়ায় নলকূপে পানি ওঠে লবণাক্ত। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরিশাল জোনালল্যাব একটি ইউনিয়নে পরীক্ষা চালিয়ে আড়াই হাজার থেকে ৩০০০ পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ততা শনাক্ত করে, যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।
১০০০ থেকে ১৫০০ পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ত পানি মানব দেহে সহনশীল। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা বৃষ্টির মৌসুমে পানি ধরে রাখেন বড় ট্যাংকে। সেই পানি শেষ হয়ে গেলে শুরু হয় সুপেয় পানির অভাব। দুর্গম এই এলাকার অল্প আয়ের মানুষ বছরের পর বছর ধরেই পুকুর ও ডেবার পানিতে ফিটকিরি অথবা ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে পান করেন। যাদের সামর্থ নেই, তারা এ নোনা পানি দিয়ে রান্না, থালাবাসন ধোয়া ও গোসলের কাজ সারেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাইফুর রহমান জানান, তিনটি ইউনিয়নে অগভীর নলকূপ রয়েছে ৯৬টি, এর মধ্যে অকেজো রয়েছে ৮টি। আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে পুকুর পাড়ে পানির ফিল্টার (পিএসএফ) স্থাপন করা হয় ১৭২টি। এগুলোর প্রায় সবই অকেজো। পরে লবণাক্ত দূরীকরণ প্লান্ট স্থাপন করে ৪টি, তাও নষ্টের পথে।