ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ

ঢাকা টাইমস মো. সামছুল আলম প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২, ০৮:৫৮

নদীমাতৃক বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। বহুকাল আগ থেকেই বাঙালির ইলিশপ্রীতির কথা সুবিদিত। সর্ষে ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ দোপেয়াজা, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ ভাজা, ভাপা ইলিশ, স্মোকড ইলিশ, ইলিশের মালাইকারী- এমন নানা পদের খাবার বাংলাদেশে জনপ্রিয়। বাঙালির নিজস্ব স্বাদ এবং ঐতিহ্যের অংশ ইলিশ মাছ নুডলস এবং স্যুপ আকারেও পাওয়া যাচ্ছে।


স্বাদে গন্ধে বাংলাদেশের ইলিশ অতুলনীয়। বাঙালির ঐতিহ্য ও গৌরবের এক অনন্য প্রতীক অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু এ মাছ যুগ যুগ ধরে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি আয় এবং নিরাপদ আমিষ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। একক মাছের প্রজাতি হিসেবে দেশের মৎস্য উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে ইলিশ। দেশের মোট মাছ উৎপাদনের শতকরা ১২ দশমিক ২২ ভাগ আসে শুধু ইলিশ থেকে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এ ছাড়া বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ইলিশ উৎপাদনে প্রথম। দেশের জিডিপিতে প্রায় ১ শতাংশের বেশি অবদান রয়েছে রুপালি ইলিশের।


অপ্রাপ্তবয়স্ক ইলিশের স্থানীয় নাম জাটকা। জাটকা মাছ ইলিশ মাছের নতুন প্রজন্মের প্রবেশন স্তর। পরিযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী ইলিশ পদ্মা, মেঘনা ও যমুনাসহ কতকগুলি বড় বড় নদীর উজানে গিয়ে স্রোত প্রবাহে ডিম ছাড়ে। ভাসমান ডিম থেকে রেণু বেরিয়ে এসব এলাকায় কিছুদিন থাকে এবং এখানেই খায় ও বড় হয়। ছয় থেকে দশ সপ্তাহের মধ্যে পোনার দৈর্ঘ্যে ১২-২০ সে.মি লম্বা হয়, তখন এদের জাটকা বলে। বাংলাদেশের মৎস্য আইন অনুযায়ী আগে জাটকার আকার ছিল নয় ইঞ্চি। কিন্তু ২০১৪ সালে গেজেট সংশোধন করে ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের (ঠোঁট থেকে লেজের প্রান্ত পর্যন্ত) কম দৈর্ঘ্যরে ইলিশকে জাটকা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ইলিশের এ গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক অবস্থা ‘জাটকা’ রক্ষায় জনগণের মাঝে সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার অন্যান্য বছরের ন্যায় এবার ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ- ২০২২ উদযাপন করতে যাচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ ,জাটকা ধরলে সর্বনাশ’। বাংলাদেশে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৭ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে।


আজকের জাটকা আগামী দিনের ইলিশ। জাটকা ধরা হলে পরিপক্বতা লাভের সুযোগ বিঘ্নিত হয়ে বড় ইলিশ পাওয়া যায় না, ফলে পরবর্তীতে মা ইলিশ থাকে না বিধায় বংশবৃদ্ধির সুযোগ থাকে না। প্রাকৃতিকভাবে মা ইলিশ নদীতে ডিম ছাড়ার পর তা থেকে পোনা এবং পোনা থেকে জাটকা এবং পরবর্তীতে বড় ইলিশে পরিণত হয়। একটি মা ইলিশ ২.৫ লক্ষ থেকে শুরু করে ২৩ লক্ষ পর্যন্ত ডিম ছাড়ে। অর্থাৎ একটি মা ইলিশ ধরলে ২৩ লক্ষ পোনা উৎপাদন বন্ধ হয়। জাটকা ও ডিমওয়ালা মা ইলিশ ধরার কারণে ইলিশের উৎপাদন কমে যায়, ফলে জেলেদের উপার্জনও কমে যায়। তাই ইলিশের ভবিষ্যৎ উৎপাদন এবং জেলেদের উপার্জন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us