ঘরদোর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু ঘরের প্রতিটি কোনা পরিস্কার রাখা মুখের কথা নয়। যেমন ধরুন, ঘরে নতুন রং হলো; কিন্তু মেঝেতে রঙের দাগ লেগে গেল। কিংবা বাড়ি খুদে দস্যি মনের আনন্দে দেয়ালজুড়ে ক্রেয়ন দিয়ে ছবি এঁকে বসল। অথবা ফ্রেমে বাঁধানো নতুন ছবিটা লাগাতে গিয়ে দেয়ালে বিশ্রী ফুটো হয়ে গেল। এমন অনেক সমস্যা তো আমাদের লেগেই থাকে। এসব ছাড়াও হলদে হয়ে যাওয়া বেসিন, জানালার কাচে ধুলো, আয়নায় জলের দাগ, রোজকার এমন খুচরা সমস্যায় বেশ নাজেহাল লাগে বৈকি। তবে একটু রুটিন মেনে নিয়মিত যত্ন নিলে ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।
ঘরের মেঝে আমরা প্রায় প্রত্যেকেই নিয়মিত পরিস্কার করি। কিন্তু সোফার পেছন দিক অথবা খাটের নিচ প্রতিদিনের সাফাই যজ্ঞ থেকে দিনের পর দিন ব্রাত্যই থেকে যায়। তাই অচিরেই এ জায়গাগুলোতে পুরু ময়লার স্তর জমে যায়। এ ধরনের জায়গা পরিস্কার করার জন্য প্রথমে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে আলগা ধুলো পরিস্কার করে নিন। এবার একটি বালতিতে মাইল্ড ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন, লম্বা হ্যান্ডেলযুক্ত মপ দিয়ে ঘরের কোনাগুলো মুছে ফেলুন। এরপর পরিস্কার জলে ফিনাইল মিশিয়ে আরও একবার মুঝে নিন। মেঝে ঝকঝক করবে। ঘরে রং হওয়ার পর মেঝেতে হোয়াইটওয়াশের দাগ হয়ে গেলে চিন্তা করবেন না। নারকেলের ছোবড়া বা ধুন্দুলের খোসা দিয়ে জায়গাটা ঘষে ফেলুন। এরপর জল দিয়ে ধুয়ে দিন। দাগ চলে যাবে। ঘরের ভেতর ভারী ফার্নিচার সরাতে গেলে অনেক সময় মেঝেতে দাগ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ফার্নিচারের তলায় পুরোনো কাপড় রেখে ফার্নিচার টানুন। দাগ হবে না।
অয়েল পেন্টেড দেয়ালে ক্রেয়ন পেনসিলের দাগ থাকলে খুব পাতলা স্যান্ডপেপার বা পরিস্কার শুকনো স্টিল উল দিয়ে হালকা হাতে ঘষে দিন। দাগ চলে যাবে। তবে খুব জোরে ঘষবেন না। এতে দেয়ালের রং নষ্ট হয়ে যায়। দেয়ালে কোনো কারণে ফুটো হয়ে গেলে টুথপেস্ট দিয়ে ওই জায়গাটা ভরে দিন। কয়েক ঘণ্টা ওইভাবেই রাখুন। টুথপেস্ট শুকিয়ে গেলে অতিরিক্ত পেস্ট ছুরি দিয়ে তুলে ফেলুন। এক দিন বাদে মানানসই দেয়ালে মানানসই রং লাগিয়ে দিন।