‘জীবনে এত সুন্দর দৃশ্য দেখিনি।’
ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠ থরথর করছে। গলা অন্য কারণেও কাঁপতে পারত। বসন্তের বাতাস হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিল। টরন্টোতে হঠাৎ হাজির তুষারবৃষ্টি, সে সঙ্গে পাগলা হাওয়া। না, ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠের ওই কাঁপাকাঁপিতে আবহাওয়ার ভূমিকা নেই। ৩৬ বছর অপেক্ষার অবসান ঘটাতে এ আবহাওয়াতেই গ্যালারি উপচে পড়ছিল। পুরো গ্যালারিতে উড়ছে ম্যাপল লিফ। ক্ষণে ক্ষণে গর্জন উঠছে। আজ জ্যামাইকার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না।
ঘরের মাঠে আজ ড্র করলেও চলত কানাডার। তাতেও সব ধরনের হিসাব–নিকাশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্বকাপে চলে যেত কানাডা। কিন্তু তাহলে গ্যালারির এমন ভালোবাসার যে প্রতিদান দেওয়া হয় না। প্রতিপক্ষকে ৪-০ গোলে উড়িয়েই বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল স্বাগতিক দল। ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপের পর আবার কাতার বিশ্বকাপে দেখা যাবে কানাডাকে।