স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের জন্য বিশুদ্ধ পানি, নিরাপদ স্যানিটেশন ও ভালো স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োজন। তবুও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ (প্রায় ২০০ কোটি) মানুষের নিরাপদ সুপেয় পানির অভাব রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক (৩৬০ কোটি) মানুষের নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাব রয়েছে।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন-২০২১’ অনুযায়ী বিশ্বে মোট জনসংখ্যা ৭৮৭ কোটি ৫০ লাখ।
বিশ্বব্যাংক জানায়, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাব মানবজাতিকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। ২০১৯ সালে মৃত্যুর অষ্টম কারণ ছিল ডায়রিয়াজনিত। অভিযোগ করা হয় সারাবিশ্বে ২০১৯ সালে নিরাপদ পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে ১৫ লাখ মারা গেছে। বিশেষ করে নারী ও স্কুলগামী মেয়েশিশুদের ওপর কঠোর প্রভাব পড়ে। উদাহরণস্বরূপ স্কুলে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সুবিধার অভাবে মেয়েরা অনুপস্থিত থাকে। ফলে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ পাঠদান থেকে নিজেকে দূরে রাখে। এটার প্রভাব জীবনভর পড়তে থাকে।
সুপেয় পানির জন্য এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করলে রিটার্ন আসে তিন বিলিয়ন ডলার। গ্রামীণ এলাকায় পানিতে বিনিয়োগ করলে আরও বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কৃষিকাজের জন্য পানি অপরিহার্য। সাব-সাহারান আফ্রিকার জিডিপির ২৩ শতাংশ অবদান রাখে কৃষিকাজ। জলবিদ্যুৎ, খনি ও শিল্পের জন্যও পানি চাবিকাঠি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ৯০ শতাংশই পানি সংক্রান্ত। সুতরাং সঠিক পানি ব্যবস্থাপনাও উন্নয়নের চাবিকাঠি বলে দাবি করেছে বিশ্বব্যাংক।