মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে শহীদ হন চট্টগ্রাম কারাগারের দুই কারারক্ষী। তবে তাদের বীরত্ব কার্যত ভুলেই গেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তাদের কখনও যথাযোগ্য শ্রদ্ধায় স্মরণ করেনি তারা। কারাগারের মূল ফটক থেকে সামান্য দূরেই তাদের স্মরণে একটি স্মৃতিফলক রয়েছে। তবে কেউ এর খবর রাখে না। চরম অযত্নে পড়ে আছে তাদের কবর।
কারা অধিদপ্তরের উপ-কারা মহাপরিদর্শক (চট্টগ্রাম বিভাগ) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম কারাগারে দুই জন শহীদ হয়েছিলেন বলে একবার শুনেছিলেন। বিস্তারিত জানেন না। তাদের স্মরণে কখনও কোনো অনুষ্ঠান হয়নি।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, এই কারাগারে তিনি যোগদান করেছেন এক বছর আগে। এখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ কারারক্ষীর স্মৃতিস্তম্ভ থাকার কথা তার জানা নেই। তবে এখন থেকে প্রতি বছর যাতে সম্মানের সঙ্গে তাদের স্মরণ করা হয় সেই ব্যবস্থা করা হবে। তাদের স্মৃতিস্তম্ভও আর অবহেলায় থাকবে না। তিনি এটিকে সুন্দর করে তৈরির উদ্যোগ নেবেন।
শহীদ কারারক্ষী মৈধর আলীর ছেলে আবদুল জলিল বলেন- বিজয় দিবস কিংবা স্বাধীনতা দিবসে শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে তাদের কারাগারের পক্ষ থেকে কখনও ডাকা হয়নি। তার বাবা ও অন্য আরেকজন কারারক্ষীর স্মৃতিস্তম্ভটি নামমাত্র কয়েকটি ইট দিয়ে তৈরি করেছে। এসব দেখে তাদের কষ্ট হয়।
নগরীর লালদীঘির পাড়েই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। এ কারাগারের মূল ফটক থেকে একশ হাত দূরেই শহীদ হন দুই কারারক্ষী। সেখানে একটি লাল ফলক রয়েছে। সেখানে ইট, বালু আর সিমেন্ট দিয়ে স্মৃতিফলক তৈরি করে লাল রং করে দেওয়া হয়েছে। আগাছায় ভরে রয়েছে এলাকাটি। কারাগারের দুই কারারক্ষী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, সেই তথ্যও জানেন না এখানকার অধিকাংশ কারারক্ষী।