রুশ আগ্রাসনের চার সপ্তাহ কী ইঙ্গিত দেয়

প্রথম আলো কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২২, ১৫:৩৭

বিশ্বজুড়ে অস্ত্র ও তেলের ব্যবসায় নিজেদের একচেটিয়া পুঁজির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার স্বার্থে দেশে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন ও যুদ্ধ এবং নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ বহুদিনের। এসব যুদ্ধে কখনো কখনো তার ইউরোপীয় মিত্ররাও সহযোগী হয়েছে, আবার মাঝেমধ্যে বিরোধিতাও করেছে। আফগানিস্তানে আল-কায়েদা ও তালেবানবিরোধী যুদ্ধে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গী হয়েছে তার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর বাইরেও অনেক দেশ; কিন্তু ইরাকে কথিত গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মূলের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে ইউরোপের অধিকাংশ দেশই অংশ নেয়নি, ন্যাটোও জোট হিসেবে ইরাক যুদ্ধে যুক্ত হতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তখন রাশিয়া কিংবা চীনের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো কোনো পাল্টা জোট গড়ার চেষ্টা করেনি; অন্যান্য দেশের তো প্রশ্নই ওঠে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ অনেকেই তাই এখন রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার চেষ্টাকে সমর্থন করছেন। তাঁদের কাছে প্রতিবেশী একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনে রাশিয়ার আগ্রাসন গুরুতর কোনো অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য নয়; বরং রাশিয়ার পরাশক্তি হিসেবে পুনরুত্থান বিশ্বের জন্য মঙ্গলদায়ক হবে বলেই তাঁদের ধারণা।


রাশিয়ার অভিযানের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁরা অন্য যে যুক্তি দেন, তা হলো বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তন বা রেজিম চেঞ্জের জন্য প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যেসব কৌশল অনুসরণে যুক্তরাষ্ট্রের যে রেকর্ড আছে, তা অনেক ক্ষেত্রেই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানি ও সহিংসতার জন্ম দিয়েছে। এক অন্যায়কে অন্য অন্যায়ের যৌক্তিকতা দেওয়ার এক অদ্ভুত প্রচেষ্টা। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যে জাতীয় ঐক্য ও প্রতিরোধ, তাকে খাটো করে দেখা অনুচিত। সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর বিরুদ্ধে যে গণ-অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রের কারসাজির কথা বলা হয়, যাঁর পতনের কারণেই জেলেনেস্কির নির্বাচিত হওয়ার পথ খুলে যায়, সেই পোরোশেঙ্কো তখন রাশিয়ায় আশ্রয় নিলেও এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।


যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানগুলোর চেয়ে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের সবচেয়ে বড় ফারাক হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর নজিরবিহীন ঐক্য। ইউরোপীয় ঐক্যে এমনকি নিরপেক্ষ সুইজারল্যান্ডও শামিল হয়েছে। অবশ্য শুধু ইউরোপ ও পাশ্চাত্য বললে কম বলা হয়। কেননা জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলোও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ক্রিমিয়া দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার কয়েকটি মিত্র সীমিত আকারে কিছু কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তা রাশিয়ার ওপর খুব বড় আঁচড় কাটতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো এবারও সীমিত ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যে বিপুল পরিমাণে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে, তা পুতিনের কাছে হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিল না। তবে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আইনি লড়াই যে এতটা ব্যাপক বিস্তৃত রূপ নিতে পারে, তা ছিল মস্কোর কল্পনারও বাইরে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us