দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে আগের তুলনায় সফলতার হার বাড়লেও এখনো কাটছে না পুরোনো সমস্যাগুলো। বরং করোনাকালে তা রূপ নিয়েছে আরেক মহামারিতে। প্রাপ্তবয়স্কদের যক্ষ্মা পরীক্ষা ও শনাক্তের সফলতার হার ইতিবাচক বার্তা দিলেও উল্টো পথে শিশুদের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। গত দুই বছরে শিশুদের যক্ষ্মা শনাক্তের হার দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে।
দুই সপ্তাহ আগে জ্বর ও ঠান্ডায় ভোগার পর কয়েক দিনের মাথায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় লক্ষ্মীপুরের কানিজ ফাতেমা। পরে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে কয়েক দিন চিকিৎসার পর অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে এখানেই চিকিৎসাধীন ফাতেমা।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
ফাতেমার মা নাসরিন বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েকে যখন নিয়ে আসি তখন চিকিৎসক জানান, যক্ষ্মার কারণে ফাতেমার ফুসফুসও এখন নষ্ট হওয়ার পথে। কিন্তু জেলার চিকিৎসকেরা তা ধরতে পারেননি। অবস্থা খারাপ হলে এখানে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পাঠায়।’
যক্ষ্মা চিকিৎসায় দেশে বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্রের মধ্যে ঢাকা শিশু হাসপাতাল অন্যতম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত এক বছরে বহির্বিভাগে যক্ষ্মায় আক্রান্ত সাড়ে ৪০০ শিশু এখানে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে শয্যাসংকটে রোগী ভর্তি করতে পারছে খুব কম।
গত মঙ্গলবার হাসপাতালের যক্ষ্মা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ৬টি শয্যাতেই রোগী। এমনকি অন্যান্য ওয়ার্ডেও যক্ষ্মা রোগীদের রাখা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত যক্ষ্মায় আক্রান্ত ৩৬ শিশুকে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।