দেড় বছরের ছেলে রহমতুল্লাহর হার্ট সার্জারির খরচ বহন করতে পারছেন না রাজধানীর জিগাতলার একটি বাড়ির কেয়ারটেকার মোহাম্মদ আফসার শেখ তার। বারো হাজার টাকা বেতন থেকে ছেলের চিকিৎসার জন্য মাসে দেড় হাজার টাকা খরচ করতে হয় তাকে।
"ছেলেটির চিকিৎসা, পরিবারের খাবার খরচ, বড় তিন সন্তানের স্কুলের খরচ সবকিছুর পর মাস শেষে কিছুই থাকে না। মাসের বেশির ভাগ দিনই আমরা ভাত, ডাল, আলু ভর্তা খাই," মঙ্গলবার বিকেলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন তিনি।
আফসার শেখ বলেন, "অনেক কষ্টে দুইদিন টিসিবির একটি ট্রাক থেকে ডাল, তেল ও চিনি কিনে আনলাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ায় রমজান মাস কীভাবে কাটাবো জানি না।"
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খাবার খরচ কমাতে বাধ হয়েছেন রাজধানীর উত্তর পীরেরবাগের বাসিন্দা রাজিয়া বেগম।
তিনি টিবিএস-কে জানান, মহামারির কারণে তার স্বামী চাকরি হারিয়েছে। এখন ছোট ব্যবসা করে। যা আয় করে তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া, ছেলে-মেয়ের পড়াশুনা খরচ দেয়ার পর তেমন কিছুই বাকি থাকে না।