বধ্যভূমির সংখ্যা কত? জানা গেল না মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় পরিবেশিত তথ্য থেকে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের এ মন্ত্রণালয়ের কাছে শুধু ২৮০টি বধ্যভূমির নাম রয়েছে; সেগুলোতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলে। যদিও এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দ্বিতীয় পর্যায়ের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে গত বছরের জুনে। নতুন করে তা বাড়ানো হয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এর পরও ২৪৬টি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা ও নির্যাতন নিয়ে গবেষণা করছে এমন দুটি বেসরকারি সংস্থার দেওয়া তথ্য থেকে ধারণা করা যায়, সারাদেশে চিহ্নিত বধ্যভূমির সংখ্যা হাজারেরও বেশি। সংস্থা দুটির একটি- ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। তারা বছর দশেক আগে একটি জরিপ শেষে জানিয়েছিল, সারাদেশে পাঁচ হাজারের মতো বধ্যভূমি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে তারা ৯৪২টি বধ্যভূমি শনাক্ত করতে পেরেছে বলে জানায়। তবে তালিকা প্রকাশ করেনি। অন্য সংস্থাটির নাম- গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র। তারা ৬৪ জেলার ৩২টিতে জরিপ শেষ করে এনেছে। '১৯৭১ :গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর' (সংক্ষেপে গণহত্যা জাদুঘর নামে পরিচিত) নামের গবেষণা কেন্দ্রটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে।
গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, '৩২ জেলার জরিপে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বধ্যভূমির সংখ্যা ৭২৫টি, গণহত্যা ১৩ হাজার ৬৫০টি, গণকবর আছে এক হাজার একটি এবং নির্যাতনকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৬২টি। দেশের আনাচে-কানাচে অসংখ্য বধ্যভূমি ও গণকবরের সন্ধান মিলছে আমাদের জরিপে। ওই জরিপের ওপর ভিত্তি করে গণহত্যা জাদুঘর গণহত্যার জিপিএস জরিপ এবং তা ডিজিটাল ম্যাপে প্রকাশ করছে।'