চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মিডিয়া গেটের উল্টো পাশেই জেলেপাড়া। এখানে কয়েক শ মানুষের বাস। তবে নেই ওয়াসার পানির সংযোগ। তাই গোসল ও রান্নার কাজে ভরসা ছোট্ট একটি পুকুর। আর দিনে দুটি পয়েন্টে গভীর নলকূপের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় পানি। দীর্ঘক্ষণ সার বেঁধে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করেন নারীরা।
শুধু উত্তর কাট্টলীর এই এলাকা নয়। নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী, দক্ষিণ খুলশী, ফিরোজশাহ, এনায়েতবাজার, জালালাবাদ, পাহাড়তলী আমবাগান, সিআরবির আবদুর রব কলোনি, আকবর শাহ, বিশ্বকলোনি, পূর্ববাকলিয়া, পতেঙ্গার আকমল আলী রোড, সিমেন্ট ক্রসিংসহ বেশির ভাগ পাহাড়ি এলাকায় মানুষের কাছে ওয়াসার পানি এখনো স্বপ্ন।
অথচ গত এক যুগে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ। এই সময় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্থাটি তিনটি প্রকল্প নিয়ে পানি উৎপাদন উন্নীত করেছে ৫০ কোটি লিটারে। ২৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। পানি উৎপাদনের সঙ্গে বেড়েছে সরবরাহও।
ওয়াসা সূত্র জানায়, ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওয়াসা মাত্র ১৪ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করতে পারত। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে পানি উৎপাদন। ২০১৯ সালে পানি উৎপাদন বেড়ে উন্নীত হয় ৩৬ কোটি লিটারে। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২’ চালু হলে উৎপাদনসক্ষমতা উন্নীত হয় ৫০ কোটি লিটারে। তবে এখন প্রতিদিন ৪২-৪৩ কোটি লিটার পানি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতে পারছে ওয়াসা।