এ গানটি শুনতে শুনতে আমাদের শৈশব কেটেছে। কৈশোরের দিনগুলোতেও ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখতাম, ইশ্, যদি প্রজাপ্রতির মতো পাখা থাকত! যদি পরির পিছে পিছে প্রজাপতি হয়ে উড়ে বেড়াতে পারতাম! ধীরে ধীরে বড় হলাম। একসময় দেখা মিলল কাফতানের। কাফতান আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। ১৯৭০- এর দশকে আমাদের দেশে কাফতানের প্রচলন লক্ষ করা যায়। তবে সে সময় অতটা জনপ্রিয় ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ পোশাকটি গ্রহণ করতে শুরু করেন ফ্যাশনসচেতন নারীরা। আমাদের দেশে অনেক পরে কাফতানের প্রচলন লক্ষ করা গেলেও, মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পোশাকের শুরুটা অনেক আগে থেকে।
কাফতান-জাতীয় পোশাকের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। মেসোপটেমিয়া সভ্যতায় এ ধরনের পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়। সে সময় পুরুষদের গায়েও কাফতান শোভা পেত। অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানরা এমন পোশাক পরতেন। সময় গড়িয়েছে। পোশাকে এসেছে পরিবর্তন। কাট, নকশা, ডিজাইনে এসেছে ভিন্নতা। এখন কাফতান নারীদের পোশাক। নাটক, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও সব জায়গায় মডেলের গায়ে কাফতান পরার বিষয়টি লক্ষ করা যায়।
কাফতান আরামদায়ক পোশাক, বিশেষ করে গরমের দিনগুলোতে ঘরে ও বাইরে পরা যায় এটি। একে তো ঢিলেঢালা, অন্যদিকে ফ্যাশনেবলও। ক্লাস, অফিস, বন্ধুদের আড্ডা—সব পরিবেশেই মানিয়ে যায় কাফতান। রাতে ঘুমানো যায় এ পোশাক পরেই।