রাজধানীর একটি জলাধার ও দুটি খাল খননে প্রায় কোটি ব্যয় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কিন্তু গভীরতায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে জলাধার ও খালের যে ৪২টি স্থানকে মৃতপ্রায় বা ‘ডেড স্পট’ হিসেবে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত করেছে, সেই তালিকাতে ঠাঁই হয়েছে দুটি খাল ও জলাধারটির।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা বলেন, সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধান ছাড়া তড়িঘড়ি করে কাজ করার কারণে এমন দশা হয়েছে। সেখানে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করতে চাইলে আবারও খননকাজ চালাতে হবে।
ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ গত বছরের ৩০ মে ক্রিয়েশন ট্রেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দুটি ভাসমান এক্সকাভেটর (খননযন্ত্র) ভাড়া নেওয়ার কার্যাদেশ দেয়। কাজের চুক্তিমূল্য ছিল ৯১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। দুটি ভাসমান এক্সকাভেটরের মধ্যে একটি কল্যাণপুর পাম্প হাউসের সামনের জলাধারে, অন্যটি মিরপুরের বাউনিয়া ও সাগুফতা খালের খনন ও পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত করা হয়।
তবে সিটি করপোরেশন থেকে কাজের বিষয়ে ঠিকাদারের কর্মীদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তাদের এমন গাফিলতির সুযোগে ঠিকাদারের কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও সেটা দেননি। এ ছাড়া চুক্তিতে প্রতিটি ভাসমান খননযন্ত্রের দৈনিক ৮ ঘণ্টা ও মোট ৬০ দিন কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু যন্ত্রগুলোকে বেশিরভাগ সময় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এসব অনিয়ম নিয়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট ‘কর্মপরিকল্পনা ছাড়াই খাল খননের কাজ’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন ছাপা হয়।