‘গায়েবি হামলায়’ ভাঙা বাড়িতে ফিরছেন তাঁরা, নাম ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায়

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২২, ১৫:০৩

টেকনাফ পৌরসভার পানির ফোয়ারা থেকে চার কিলোমিটার পশ্চিমে এগোলে বাহারছড়া লেঙ্গুর বিল এলাকায় রাস্তার পাশে সুরম্য একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। সামনে বাহারি গেট।  আড়াই বছর আগে এই বাড়ির ভেতর ও  বাইরের ফটক ভেঙে ফেলা হয়েছিল। বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মালিক জাফর আহমেদ। পুলিশের ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তিনি এখন এই বাড়ি ভাড়া দিয়ে কাছের আরেকটি বাড়িতে বসবাস করেন।


জাফর আহমেদের এই বাড়ি থেকে ছয় কিলোমিটার দক্ষিণে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ায় সৈয়দ হোসেনের ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে এখনো সীমানাপ্রাচীর ও ফটকের ভাঙা ইটের টুকরোগুলো পড়ে আছে। তাঁর বাড়িটিও ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এখন টিন দিয়ে নতুন করে সীমানাপ্রাচীর বানানো হয়েছে। পুলিশের ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় সৈয়দ হোসেনেরও নাম রয়েছে। ইয়াবা, অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের ১৮ মাস পর তিনি কারাগার থেকে জামিনে আসেন। এখন তিনি এই বাড়িতে বসবাস করেন।


দুটি বাড়ির ওপরই চালানো হয়েছিল ‘গায়েবি হামলা’। বাড়ির মালিকদের অভিযোগ, সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে চলতো এসব ‘গায়েবি হামলা’। জাফর আহমেদ ও সৈয়দ হোসেনের দাবি, তাঁরা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত নন।


সরেজমিন ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই দুটি ডুপ্লেক্স বাড়িসহ টেকনাফে এ রকম ছোট–বড় প্রায় ৮০ টি বাড়িঘর ভাঙচুর হয়। এর মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সবাই এখন বাড়িতে ফিরে এসেছেন। ৪৫টির মতো বাড়ি মেরামত হয়েছে। বাকি ৩৪ বাড়ির কিছু অংশের মেরামত কাজ হয়েছে। আর কিছু ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। সব বাড়ির মালিকের নাম পুলিশের ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় রয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, কক্সবাজারে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১ হাজার ২৫০ জন। এর মধ্যে শুধু টেকনাফে রয়েছেন ৯১২ জন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us