মহিমান্বিত মাস রমজান সমাগত। এখন থেকেই প্রয়োজন তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা। যেন রমজানের যাবতীয় কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের দুই মাস আগে থেকেই রমজান লাভের দোয়া করতেন—‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৩৬৯)
নিঃসন্দেহে এই দোয়া ছিল রমজানের জন্য নবীজি (সা.)-এর মানসিক প্রস্তুতি। উল্লিখিত হাদিসের আলোকে বুজুর্গ আলেমরা বলেন, ‘রজব হলো বীজ রোপণের মাস, শাবান পানি সিঞ্চনের মাস আর রমজান ফসল ঘরে তোলার মাস। ’ নিম্নে রমজানের প্রস্তুতিমূলক কিছু কাজের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
প্রস্তুতি গ্রহণের সর্বোত্তম সময় : হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, মুমিন রজব মাস থেকে রমজানের প্রস্তুতি শুরু করবে। তবে যারা রজব থেকে শুরু করতে পারেনি, তাদের জন্য সর্বোত্তম সময় শাবান মাস। মহানবী (সা.) শাবান মাসের ব্যাপারে যারা উদাসীন তাদের সতর্ক করেছেন। উসামা বিন জায়িদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘...রাসুল (সা.) বলেন, রমজান ও রজবের মধ্যবর্তী এ মাসের ব্যাপারে মানুষ উদাসীন থাকে। এটা এমন মাস, যে মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই, আল্লাহর কাছে আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৩৫৭)