শবে বরাতের প্রকৃত তাৎপর্য ও শিক্ষা

জাগো নিউজ ২৪ মাহমুদ আহমদ প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২২, ১১:৫৪

‘শবে বরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ অর্থ- রাত আর ‘বরাত’ অর্থ ভাগ্য। দু’টো শব্দ একত্রে করলে হয় ‘ভাগ্যের রাত বা ভাগ্যের রজনী। শবে বরাত নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। এ রাত সর্ম্পকে একপক্ষের মত হল, এ রাতে প্রত্যেক মানুষের ভাগ্য লিখে দেয়া হয়। তাই এ রাতে অনেক বেশী নামাজ পড়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে হয়।


যারা শবে বরাত পালন করেন, তাদের মতে ১৫ই শাবান মহানবী (সা.) রোজা রাখতেন এবং রাতে কবর যিয়ারত করতেন ও বেশী নফল নামাজ পড়তেন। তাই দিনে রোযা রাখতে হবে এবং রাতে নফল নামাজ পড়তে হবে এবং কবর যিয়ারত করতে হবে। আরো বলা হয় এ রাতে মৃত আত্মারা পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের দেখে যায়। অনেকে এটিও বলেন, জান্নাতে একটি গাছ আছে যার পাতাগুলোতে পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের নাম লেখা আছে যে পাতাগুলো এ রাতে পড়ে যায়, সে পাতাতে যে সব মানুষের নাম লেখা থাকে তারা এ বছর মারা যাবে। অনেকের মতে এ রাতে মানুষের জীবন ও মৃত্যু সর্ম্পকে সিদ্ধান্ত হয়। বলা হয় এ রাতে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং বলেন কে আছে যে ক্ষমা চাইবে আর আমি ক্ষমা করবো। কে আছে যে চাইবে আর আমি তাকে দিব।


যারা শবে বরাত পালন করেন তারা এর পক্ষে পবিত্র কুরআনের সুরা দুখানের ৩-৫ নম্বর আয়াত উপস্থাপন করে থাকেন। যেখানে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন- ‘আমি একে নিশ্চয় এক আশিষপূর্ণ রাতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নিশ্চয় আমিই রাসুল প্রেরণ করে থাকি।’


তারা কিছু হাদিসও উপস্থাপন করে থাকেন। হজরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন; আমি তখন উঠে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়িশা! তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না? নবীজি (সা.) বললেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভালো জানেন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ইমান, তৃতীয় খÐ, পৃষ্ঠা ৩৮২)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us