দরপত্র-বাণিজ্য, চাকরি-বাণিজ্য, অর্থ পাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দিয়ে ফরিদপুরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা খন্দকার মোহতেশাম হোসেন ওরফে বাবর সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন। বড় ভাই সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে খন্দকার মোহতেশাম বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন বলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন। এর আগে অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার হন খন্দকার মোশাররফের পাঁচ অনুসারী মোকাররম মিয়া, সত্যজিৎ মুখার্জী, ফোয়াদ, বরকত ও রুবেল। এ অবস্থায় ফরিদপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে, যাঁর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে এসব ব্যক্তি এত অপকর্ম করেছেন, তাঁর কী হবে? তাঁকে কি আইনের আওতায় আনা হবে?
আওয়ামী লীগের স্থানীয় একাধিক নেতা-কর্মীর অভিযোগ, ফরিদপুর-৩ আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ মন্ত্রী হওয়ার পর ফরিদপুরের রাজনীতি থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তাঁর ভাই ও সহযোগীরা একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেন এবং প্রচুর বিত্তবৈভবের মালিক বনে যান। বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানেও নিজের পছন্দের লোকদের বসান তিনি। কেউ তাঁর বা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বলতে গেলে তাঁকে শক্ত হাতে দমন করেছেন।