খাবার নাকি অসুখ কিনছি!

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২২, ১৫:৫৪

সম্প্রতি ‘রেডি টু ইট বা প্যাকেটজাত’ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের চাহিদা বিশ্বজুড়েই বেড়েছে, বাংলাদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। এসব পণ্য নিয়ে এক দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোর অধিকাংশেই আছে মাত্রাতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের খাবারগুলো মানুষের স্থূলতা বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে খাদ্য সর্ম্পকিত অসংক্রামক রোগের প্রধান কারণে পরিণত হয়েছে এসব খাবার।


পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রক্রিয়াজাত খাবারের উৎপাদন বার্ষিক গড়ে শতকরা আট শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশ হয় অসংক্রামক রোগে; ২০৪০ সালে যা ৮০ শতাংশে ঠেকতে পারে। এর পেছনে বড় নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে খাদ্যে ভেজাল কিংবা মাত্রাতিরিক্ত স্বাদবর্ধক উপাদান। যে তালিকায় বাদ নেই শিশুদের পছন্দের চিপস, চানাচুর কিংবা বিস্কুটও।


গবেষণায় বলা হয়েছে, ইউকে স্বাস্থ্য বিভাগের রেটিং ট্রাফিক লাইট অনুসারে চিপসে চিনি রয়েছে সাত দশমিক দুই শতাংশ, লবণ দুই দশমিক এক শতাংশ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১১ দশমিক ছয় শতাংশ ও ফ্যাট ২৪ দশমিক চার শতাংশ। চানাচুরে চিনি ১১ দশমিক আট শতাংশ, লবণ এক দশমিক সাত শতাংশ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ১৫ দশমিক আট শতাংশ ও ফ্যাট ৩৭ দশমিক চার শতাংশ। বিস্কুটে যথারীতি চিনি ১৯ দশমিক চার শতাংশ, লবণ এক দশমিক ছয় শতাংশ, ও ফ্যাট রয়েছে ১৮ দশমিক সাত শতাংশ। আবার অস্ট্রেলিয়ার ফুড সেফটি অথরিটির গাইডলাইন অনুসারে চিপস পেয়েছে শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে দুই শতাংশ, চানাচুর শূন্য দশমিক পাঁচ থেকে এক দশমিক পাঁচ আর বিস্কুট শূন্য দশমিক পাঁচ থেকে দুই শতাংশ রেটিং। যেখানে হেলথ স্টার রেটিং চারের বেশি হলে সেটা স্বাস্থ্যকর, আর এর কম হলে অস্বাস্থ্যকর।


‘সল্ট, সুগার অ্যান্ড ফ্যাট কন্টেন্ট ইন কমনলি কনজিউমড প্রসেডড প্যাকেজড ফুড অ্যান্ড দেওয়ার কনফরমিটি উইথ লেবেল ইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই গবেষণায় প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ও হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। তিনি জানান, ‘প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্যাকেজিংয়ে খাবারের উপাদানের যেসব তথ্য থাকে, সেটার সঙ্গে গবেষণায় পাওয়া তথ্যও মেলেনি। যেমন প্যাকেটের গায়ে লবণের পরিমাণ যা লেখা তার মধ্যে ‘আন্ডার রিপোর্টেড’ ছিল ৬৬ দশমিক সাত শতাংশ। অর্থাৎ, হয়তো আমরা পেয়েছি ১২ গ্রাম, কিন্তু প্যাকেটে লেখা ছিল আট গ্রাম। এভাবে বেশিরভাগই ছিল অ্যান্ডার রিপোর্টেড। সঠিক লেভেল কোনোটাতেই পাইনি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us