ঢাকার বাজারে বেশি বিক্রি হয় এমন পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্র থেকে সংগৃহীত ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং ফ্রায়েড চিকেনের নমুনায় ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে। সবকটি উপাদানই নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় বহুগুণ ছিল। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে লবণ ছিল বেশি আর অনুমোদিত মাত্রার ৩ শতাংশের বেশি আর্সেনিক পাওয়া গেছে মুরগির লেগ পিস ও ব্রেস্ট পিসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের মানুষ বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এসব ফাস্টফুড। আর এসব খাবার স্থূলতা এবং পরে অসংক্রামক রোগ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি (ফুড হ্যাজার্ড) নিয়ে পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আর্থিক সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে করা এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে আসে।
সোমবার (১৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয়, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও ফ্রায়েড চিকেন এবং বিভিন্ন খাবারে লবণ, চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ট্রান্সফ্যাট এবং ফ্যাট নিয়ে তিনটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, প্রতিটি খাবারেই ক্ষতিকারক উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত।
গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ পানীয়তে পিএইচ মাত্রা ছিল তিন-এর নিচে। যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। আবার কোমল পানীয়ের তুলনায় এনার্জি ড্রিংকে ক্যাফেইনের মাত্রা বেশি ছিল। ক্যাফেইনের জন্য বিএসটিআই অনুমোদিত সর্বোচ্চ মাত্রা ১৪৫ পিপিএম হলেও এনার্জি ড্রিংকে পাওয়া গেছে ৩২১ দশমিক সাত পিপিএম।