জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুণতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি ভর্তুকি দিয়ে হলেও স্থিতিশীল রাখার, কতদিন রাখা যাবে জানি না। বড় পরিবর্তন হলে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (১৪ মার্চ) বিদ্যুৎ ভবনে এক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টাস (এফইআরবি) ও বিসিপিসিএল যৌথভাবে এই মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২১মার্চ পায়রা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বের দশম দেশ আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। আমাদের ১৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন। শীত মৌসুমে বিদ্যুৎ রপ্তানির পরিকল্পনা চলছে। ৬০ লাখ সোলার হোমস সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিপিসি এখন দৈনিক ৮০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। মাসে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা কতদিন এভাবে চালানো যাবে সেটাই প্রশ্ন। দিন রাতের মধ্যে ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার তারতম্য রয়েছে। এটা বেশ জটিল।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যতীক্রম, প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে এগিয়ে। সন্দ্বীপে, রাঙ্গাবালিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, ওই অঞ্চলের মানুষও এক সময় বিশ্বাস করতে চাননি বিদ্যুৎ পাবেন বলে। হাতিয়া নিঝুম দ্বীপে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যমুনা, তিস্তার অনেক দুূগম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।