‘দোস্ত, কী অবস্থা!’ ধরুন নিতান্তই আপনজনের মতো কেউ আপনার কাঁধে হাত রেখে এ কথা বলার পর আপনি তাঁকে চিনতেই পারলেন না। এমন অভিজ্ঞতা প্রায়ই হয় ফাহিম আর ফাহমিদের। দেখতে প্রায় একই রকম হওয়ায় বন্ধুরা প্রায়ই দুজনকে গুলিয়ে ফেলেন। বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় ঠিকই, কিন্তু দুজন যে ‘ডবল’ ভালোবাসা পান, সে কথাও স্বীকার করলেন।
দিনাজপুরের হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে পড়েন ফাহিম মো. সাদিক। আর ফাহমিদ মো. সাদিক পড়েন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগে। পড়ার বিষয় আলাদা হলেও একাডেমিক ক্ষেত্রে দুজনই দুজনকে যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এটাই নাকি তাঁদের ওপর থেকে পড়াশোনার চাপ অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
ফাহিম বলছিলেন, ‘আমাদের প্রজন্মের মানুষদের অনেক ক্ষেত্রে এমন হয় যে তাঁরা নিজেদের মনের মতো বন্ধু পান না। একটা সময় গিয়ে একাকিত্বে ভোগেন। আমরা দুই ভাই আসলে এই ক্ষেত্রে একটা বড় সুবিধা পাই। আমরা দুজন দুজনের খুব ভালো বন্ধু। নিজেরা নিজেদের সুখ বা দুঃখ খুব সহজেই বুঝতে পারি।’