মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই করে দেখার নির্দেশনা রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু সনদ যাচাই না করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
নিয়োগ পাওয়া এসব ব্যক্তির সনদ পরে যাচাই করে ১৩৫ জনের বেশ কিছু তথ্যে গরমিল পাওয়া গেছে। ফলে তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রত্যয়ন করেনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি। তথ্যে গরমিল পাওয়া এই ব্যক্তিদের বেশির ভাগই অফিস সহায়ক। প্রত্যয়ন পেতে ব্যর্থ হলেও অনেকের চাকরি ইতিমধ্যে স্থায়ী হয়েছে; পেয়েছেন পদোন্নতিও।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই করে তা প্রত্যয়নের জন্য নিজ নিজ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ২০১৭ সালের ২১ জুন চিঠি দেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরে ১৯ জুলাই পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর নির্দিষ্ট ছকে তথ্য চেয়ে ২২ নভেম্বর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তার অধীন সংস্থাগুলোকে চিঠি দেয়। ১২ ডিসেম্বর এক দপ্তর আদেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে তথ্য আহ্বান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। জমা দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই-বাছাই করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ-বিষয়ক কমিটি।
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে গত ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ওই কমিটির কয়েক ধাপের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তথ্য না থাকা, মুক্তিযোদ্ধার নাম, জন্মতারিখে ভুলসহ তথ্যের নানা গরমিল পাওয়ায় পাউবোর ১৩৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ প্রত্যয়ন করেনি কমিটি। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন কর্মকর্তা।