যখন দুটি কিডনি বিকল হয়ে যায়, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। আমাদের শরীরে প্রতি মুহূর্তে বিপাক কার্যক্রম চলমান। এতে তৈরি হয় প্রচুর বর্জ্য পদার্থ। প্রতিদিন এসব বর্জ্য শরীর থেকে বের করে থাকে কিডনি। এর সঙ্গে প্রস্রাব তৈরির মাধ্যমে শরীরে লবণ-পানির ভারসাম্য রক্ষায় ও রক্ত প্রস্তুতেও কিডনির রয়েছে ভূমিকা।
কিডনি বিকল হলে শরীরের এ ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দেখা দেয়। এতে শরীর ফোলা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, খিঁচুনি ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয় এবং ইউরিয়া-জাতীয় বর্জ্য শরীরে জমতে থাকে। দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের পাঁচটি ধাপ আছে। শেষ ধাপে রোগীকে ডায়ালাইসিসের পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়ালাইসিস দুই ধরনের: হিমোডায়ালাইসিস ও পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস।
হিমোডায়ালাইসিস
হিমোডায়ালাইসিস আমাদের দেশে বেশি প্রচলিত। এতে সপ্তাহে দুই-তিনবার ডায়ালাইসিসের জন্য হাসপাতালে যেতে হয়। প্রতি সেশনে সাধারণত চার ঘণ্টা লাগে। এ সময়ে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত পানি, বর্জ্য পদার্থ ডায়ালাইসিস যন্ত্রের দ্বারা নিষ্কাশন করা হয়।