বর্তমান বিশ্বে নারী-পুরুষ এভাবে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। কবির ভাষায় `বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,/অর্ধেক তার নর’- এই কবিতার মর্মার্থ বর্তমান বাস্তবতায় আরও প্রাসঙ্গিক।
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এইদিনে নারীর জন্য একটি সুষ্ঠু বিশ্ব গড়ে তুলতে অঙ্গীকার করতে হবে। যেখানে নারীরা মর্যাদার সঙ্গে এবং সব প্রকার ভয়ভীতি থেকে মুক্ত হয়ে বসবাস করতে পারবে। সমাজ পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে নারীর জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি, শিক্ষাসহ দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং তাদের ক্ষমতায়নে একসঙ্গে কাজ করাই হবে বিশ্বনেতাদের কর্তব্য। পাশাপাশি এক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে আন্তরিক অঙ্গীকার এবং শক্তিশালী নেতৃত্ব থাকতে হবে। এ ধরনের অঙ্গীকারই পারে নারী-পুরুষের একটি সমতার বিশ্ব তৈরি করতে।
বাংলাদেশ নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেকটাই এগিয়ে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার নারী সে দেশে নারীর অবস্থান কী তা সহজেই অনুমেয়। এছাড়া সমাজের সব পেশার ক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, সশ্রস্ত্রবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিভিন্ন কারিগরিতেও নারীরা উচ্চপদে আসীন রয়েছে।