জনসমুদ্রে যাওয়ার আগে

আজকের পত্রিকা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২২, ১৮:৩২

সাতই মার্চ সকালে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আওয়ামী লীগের বহু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও ছাত্র নেতৃবৃন্দে ভরে যায়। উপস্থিত সবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন দেশে পরিণত করার ব্যাপারে আলোচনা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমদ, তাজউদ্দীন আহমদ ও ড. কামাল হোসেন সাহেবদের সঙ্গে লাইব্রেরিরুমে দ্বার রুদ্ধ করে আলাপে বসেন। সুদীর্ঘ আলোচনার পর লাইব্রেরিকক্ষ থেকে বসার ঘরে অপেক্ষারত আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন এবং ঐদিন বিকেল সাড়ে ৪ ঘটিকায় রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য সভায় দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করে একটি চার দফার ঘোষণা দেওয়া হবে।


অতঃপর বঙ্গবন্ধু তৎমর্মে জনাব কামারুজ্জামান, জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও ড. কামাল হোসেনকে নির্দেশ দিয়ে গোসল ও দুপুরের আহারের জন্য বাড়ির ওপরতলায় চলে যান। আহার শেষে বঙ্গবন্ধু যখন বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সে সময় এক ফাঁকে এসে ড. কামাল হোসেন তাঁকে প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের খসড়াটি দেখিয়ে নেন। ততক্ষণে আওয়ামী লীগের অপর পাঁচ নেতা নিজ নিজ বাসায় দুপুরের আহারের জন্য চলে গিয়েছিলেন। ড. কামাল হোসেন উপরোল্লিখিত ঘোষণাপত্রটি টাইপ করিয়ে নেওয়ার জন্য নিচে চলে গেলে বঙ্গবন্ধু আমাকে বলেন, আমি যেন ওই ঘোষণাপত্রটির টাইপড (চূড়ান্ত) কপিটি সেটির অনুমোদিত মূল খসড়াটির সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। ঘোষণাপত্রের খসড়াটি বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী মোহাম্মদ হানিফকে টাইপ করার নির্দেশ দিয়ে ড. কামাল হোসেন আহারের জন্য তাঁর বাসায় চলে যান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us