‘আমগো আর কষ্ট করতে হইব না, আমি সব কষ্ট দূর কইরা দিমু ইনশাল্লাহ’। ইতালির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগ মুহূর্তে লিবিয়া থেকে টেলিফোনে মা রুবি বেগমকে এ কথা বলেছিলেন ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আল-আমিন ফরাজি। ওই সময় তিনি তার মাকে কাকুতি-মিনতি করে দালালদের পাওনা সাড়ে ৬ লাখ টাকাও পরিশোধ করতে বলেছিলেন। পরে কোনো রকমে সাড়ে ৪ লাখ টাকা স্থানীয় দালাল তারেক মোল্লার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আল-আমিন ফরাজির বাড়ি নরসিংদীর ডৌকারচর এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যায় সেখানে গেলে তার মা রুবি বেগম এসব কথা জানান। এ সময় পরিবারের সদস্যদের আহাজারি করতে দেখা যায়।
‘আমার ভাই বেঁচে আছে তো’- এমন প্রশ্ন করে আল-আমিন ফরাজির বোন ইতি আক্তার বলেন, ‘আমাদের অভাবের সংসার। বাবা মারা যাওয়ার পর আল-আমিন সংসারের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।’ শুধু ইতি নন, নৌকাডুবিতে ওই এলাকার নিখোঁজ হওয়া আলমগীরের স্ত্রী মৌসুমী ও নাদিম সরকারের মা সামসুন্নাহারেরও একই অবস্থা।